চট্টগ্রাম থেকে স্মার্ট আইনি সেবা কার্যক্রম সমগ্র দেশে ছড়িয়ে পড়ুক উল্লেখ করে জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমদ ভূঞা বলেছেন, গরীব দুঃখীর মামলার ব্যয় শেখ হাসিনা সরকার দেয়। জড়ালে কেউ মিথ্যা মামলার জালে, সরকারি আইন সহায়তার সুযোগ মেলে। বিনা বিচারে আটক কিংবা অসচ্ছল কারাবন্দীদের আইনি সহায়তা প্রদানে জেলা লিগ্যাল এইড অফিস কাজ করছে। কারা–কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সকল কারাবন্দীদের আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন চাওয়ার অধিকার রয়েছে। আর্থিকভাবে অসচ্ছলতার কারণে যাতে কোন বন্দী বিনা বিচারে কারাগারে আটক না থাকেন তার জন্য সরকার জেলা পর্যায়ে জেলা লিগ্যাল এইড অফিস চালু করেছে। সারাবিশ্বে যতগুলো মানবাধিকার সনদ রয়েছে সব জায়গায় কারাবন্দীদের আইনি সহায়তার কথা রয়েছে। কারাবন্দীদের স্মার্ট আইনি সেবা সহজীকরণে গতকাল চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার লিগ্যাল এইড কর্নার উদ্বোধন এবং প্রাতিষ্ঠানিক গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা জজ এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম জেলাকে স্মার্ট জেলা গড়ার লক্ষ্যে সরকারি আইনি সেবাকে প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে কাজ করছে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি চট্টগ্রাম। সিনিয়র জেল সুপার মঞ্জুরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) মুহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল। সভায় বক্তব্য রাখেন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলম, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী, যুগ্ম জেলা জজ মো. খাইরুল আমীন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রহমান, সিনিয়র সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল–মামুন, এস এম এন জামিউল হোসেন, কারাগারের সহকারী সার্জন ডা. তুষার কান্তি নাথ, ডা. মো. জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, কারাগারের জেলার মো. এমরান হোসেন ভূঞা, ডেপুটি জেলার মো. আখেরুল ইসলাম, সুমাইয়া আক্তার ও মো. তোফায়েল আহমেদ।