রক্তদানে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সম্মাননা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে রক্তদাতা সংগঠন কণিকা। গতকাল শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংগঠনটি। এ সময় রক্তদান ও রক্ত নিয়ে কাজ করার জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৬৩ ব্যক্তি ও সংগঠনকে সম্মাননা জানানো হয়। এরমধ্যে ৪০ জনকে সুপার ডোনার সম্মাননা, ৫ জনকে নতুন রক্তদাতা সম্মাননা, ৩ জনকে দুঃসাহসিক রক্তদাতা সম্মাননা, ৩ জনকে বর্ষ সেরা রক্তদাতা সম্মাননা, ২ জনকে কণিকা সেরা সংগঠক সম্মাননা, ১ জনকে উদীয়মান সংগঠক সম্মাননা এবং ৩ টি সংগঠনকে রক্তদানে অবদান রাখায় বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়াও রক্তদান বিষয়ক সংবাদের জন্য সরোয়ার সুমন ও আলম দিদারকে সাংবাদিক সম্মাননা প্রদান করা হয়। কণিকার সহ-সভাপতি নাঈমুল হাসান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুসরাত জাহান তানির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাসউদ। এ সময় তিনি বলেন, সারাদেশে আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে যারা মানুষের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসেন, তাদের জন্যই আমাদের এই আয়োজন। তাদের সম্মানিত করতে পারলে সাধারণ মানুষ রক্তদানে আরো উদ্বুদ্ধ হবে বলে বিশ্বাস আমার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সিকান্দর খান বলেন, যারা রক্ত দেয়, রক্ত নিয়ে কাজ করে তারা বিশাল হৃদয়ের মানুষ। আপনার রক্ত কার শরীরে গিয়ে কাকে বাঁচিয়ে রাখে, আমরা কেউ জানি না। এটা তো মহা পুণ্যের কাজ। মানুষের উপকারে আমরা রক্ত দিই, এতেই আমরা সন্তুষ্ট। নিজের স্বার্থ ভুলে গিয়ে এই কাজ যারা করে তাদের চেয়ে মহৎ আর কে? প্রধান আলোচক ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, রক্তদান অনেক মহৎ কাজ, রক্তদাতার যে আত্মতুষ্টি, এটা অনেক বড় পাওয়া। অনেকের মধ্যে রক্তদানের বিষয়ে ভয় কাজ করে। এই ভয় দূর করার জন্য কণিকার মত সংগঠনগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, ড. মুহাম্মদ মাসুম চৌধুরী, কণিকার সাধারণ সম্পাদক তারেক সাব্বির প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।