স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নবনিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালকের (ডিজি) অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিনকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের নিপীড়ন ও বৈষম্যের শিকার চিকিৎসকরা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে চমেক ক্যাম্পাসের পুরাতন প্রিন্সিপাল লবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. জসিম উদ্দিন। হৃদরোগ বিভাগের চিকিৎসক ডা. এস এম ইফতেখারুল ইসলামের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন পরমাণু চিকিৎসাকেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দীন আহমেদ মানিক ও চমেক হাসপাতাল হৃদরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. ইব্রাহিম চৌধুরী। মানববন্ধনে অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দিন বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরে পতিত আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের প্রেতাত্মারা এখনও রাজত্ব করে চলছে। অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের তুলনায় এখানে কোনো পরিবর্তন দৃশ্যমান নয়। স্বৈরাচারের দোসর দুই সচিব, সচিবালয়ের অন্যান্য কিছু কর্মকর্তা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রত্যক্ষ বিরোধিতাকারী দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা তাদের পদে বহাল থেকে এখনও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এ সকল দুর্বৃত্ত মন্ত্রণালয়ের কাজকর্মে স্থবিরতা ও বিশৃঙ্খলা এনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার এক অন্তর্ঘাতী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। ছাত্রজনতার আশা, আকাঙ্ক্ষা ও আন্দোলনের ফসল এ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে তাদের এ ষড়যন্ত্র রুখে না দেওয়া হলে তারা যে কোনো সময়ে স্বাস্থ্যখাতকে অস্থিতিশীল করে তুলবে। অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক বলেন, বিগত সরকারের সবচেয়ে সুবিধাভোগী ডা. রোবেদ আমিন গত ৩ আগস্ট শহীদ মিনারে ছাত্রদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে শান্তি মিছিল করেছে। ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী হাসিনার ভারতে পলায়নের পর রং বদলিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সাথে মিশে গিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে নিজেদের দখল বজায় রাখার চেষ্টা করছে। এরাই বিভিন্ন দেশকে বড় অঙ্কের ঘুষ দিয়ে এবং ভারত সরকারের ইচ্ছায় শেখ হাসিনা কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) রিজিওনাল ডিরেক্টর বানানোর মূল ভূমিকা পালন করেছিল। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রব, কার্ডিয়াক সার্জন ডা. ফজলে মারুফ, পেশাজীবী নেতা ডা. এস এম সারোয়ার আলম, ইউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান, দন্তরোগ বিভাগের প্রভাষক ডা. মো. ঈসা চৌধুরী, ডা. রাহাত খান, অর্থোপেডিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. জামাল হোসেন, ডা. মো. ইমরোজ উদ্দীন, মেডিসিন বিভাগের ডা. তানভীর হাবিব তান্না, ডা. দিদার হেসেন, নাক কান গলারোগ বিভাগের ডা. নুরুল করিম চৌধুরী, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মিনহাজুল আলম, ডা. সাইফুদ্দীন সোহাগ, ডা. মোনায়েম ফরহাদ, ডা. সাদ্দাম হোসেন, ডা. মেহেদী হাসানসহ অসংখ্য চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।