যিনি বিপদে আপদে সব সময় পাশে থাকেন কাছে রাখেন তিনিই প্রিয়জন। যিনি নিজ স্বার্থ ছাড়া অপ্রয়োজনে খোঁজ খবর নেন, তিনিই প্রিয়জন, স্বজন, বন্ধু, আপনজন। বর্তমান সময়ে আমরা অনেকেই কম বেশি ব্যস্ত, এতে অনেকেই নিজ পরিবারকেই সময় দিতে পারেন না, তবুও চেষ্টা করে প্রিয়জনদের সময় দেয়ার। তবুও শত ব্যস্ততার পরেও চেষ্টা করি প্রিয়জনদের সময় দিতে, আবার অনেকেই সামান্য যোাগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলেই অভিমানের সুরে বলেন: মানুষ প্রয়োজনেই প্রিয়জনদের স্মরণ করে। কথাটা শুনতে খারাপ লাগলেও আমাদের সমাজে এখনও কিছু স্বার্থপর মানুষ আছে, যারা সময়ে আপনাকে খুঁজবে। মানুষ এখন মানুষের আবেগ নিয়ে খেলে, দুঃখ নিয়ে খেলে, ভালোবাসা নিয়ে খেলে, বিশ্বাস নিয়ে খেলে। খেলা শেষ হলে অসহায় মানুষটাকে ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে।
মানুষ নিজে নায়ক সেজে অসহায় মানুষটাকে জোকার বানায়। তার পর তাকে একটা সার্কাসের খেলা বানিয়ে ভেতরে ভেতরে হাসে। অথচ তাদের বাইরের বিশ্বাসঘাতক চোখ দিয়ে কান্নার অভিনয় করে। স্বার্থপর এই পৃথিবী। বাণিজ্যিক পৃথিবীর মানুষ ইট–পাথরের মূল্য বোঝে; মানুষের ভেতরের আর্তনাদ, কষ্ট, দহন, জ্বালা বোঝে না। মানুষ কাগজের টাকার মূল্য বোঝে, মানুষের ভেতরের প্রতিদিন অভাবের বিরুদ্ধে লড়াইকে বোঝে না। মানুষ নিজেরটাই বেশি বোঝে; অন্যেরটা তার কাছে মূল্যহীন, যুক্তিহীন, অবাস্তব। আপনাকে প্রিয়জনের জায়গায় রেখে শুধু শুধু কেউ জায়গা নষ্ট করতে চাইবে না। ঠিক কম্পিউটারের হার্ডডিস্কের মতো। স্বার্থপর মানুষদের পচে যাওয়া বিবেকে যদি আবার সত্যের ধারাবাহিক প্রবাহে স্বার্থহীন বিবেক জন্ম নেয় কখনও– সেই ভরসার চাদর পরে সূর্য আলো দিয়ে যায় জন্ম থেকে জন্মান্তরে। ঠিক যেন গোবরে পদ্মফুল ফোটার মতো। স্বপ্ন একটাই, যদি স্বার্থপর মানুষ বদলে গিয়ে স্বার্থহীন হতো তাহলে পৃথিবীটা মনে হয় আরও একটু বেশি সুন্দর হতো।