নগরীর খুলশীতে নাসরিন সুলতানা সাকী (২৭) নামে এক গৃহবধূর আত্মহত্যার মামলায় স্বামীসহ দু’জনকে আট বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া এই মামলার রায়ে একজনকে খালাস দেয়া হয়েছে। গতকাল রোববার মহানগর ৫ম যুগ্ম দায়রা জজ মো. জহির উদ্দিনের আদালত নগরীর খুলশী থানায় ২০১৬ সালে আলোচিত এই মামলাটির আসামিদের বিরুদ্ধে এই রায় ঘোষণা করেন।
মহানগর এপিপি অ্যাডভোকেট সুভাষ কান্তি রুদ্র গতকাল আজাদীকে বলেন, ২০১৬ সালে নাসরিন সুলতানা সাকী নামে এক গৃহবধূর আত্মহত্যার ঘটনায় এজাহারনামীয় মোট পাঁচজনকে আসামি করে খুলশী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মামলাটির তদন্ত শেষে দুই ও চার নম্বর আসামি আঞ্জু মনোয়ারা বেগম ও শাহিন নামে দু’জনকে চার্জশিট থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল। বাদবাকী আসামির তিনজনের বিরুদ্ধে রোববার বিজ্ঞ আদালত এই রায় ঘোষণা করেছেন।
তিনি জানান, আদালতের রায়ে আসামি সোহেল মিয়া ও সাজিয়া আক্তারকে আট বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। এছাড়া রায়ে রাজু নামে এক আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
অ্যাডভোকেট সুভাষ কান্তি রুদ্র বলেন, এই মামলায় আসামিসহ মোট দশজনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। এ সময় দণ্ডবিধির ৩০৬/১০৯ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আদালতে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হওয়ায় পরবর্তীতে এই রায় দেওয়া হয়।
জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সোহেল ওই গৃহবধূর স্বামী। আর সাজিয়া আক্তার সোহেলের ভাবি হন। রায়ে খালাস পাওয়া রাজু সোহেলের ছোটো ভাই।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার বাসিন্দা নিহত নাসরিন সুলতানা সাকির সাথে কুমিল্লা মুরাদনগর এলাকার মৃত শাহ আলমের ছেলে সোহেল মিয়ার বিয়ে হয় ২০১১ সালে। পারিবারিক কলহের জের ধরে ২০১৬ সালের ৬ মে সাকী লালখান বাজার হাই লেভেল রোড এলাকার বাসায় আত্মহত্যা করেন। ওই ঘটনায় সাকীর বোন রোমানা আফরোজ বাদী হয়ে খুলশী একটি আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করেন। এজাহারে এক নম্বর আসামি স্বামী সোহেল মিয়া, দুই নম্বর আসামি সোহেলের মা আঞ্জু মনোয়ারা বেগম (৬০), পর্যায়ক্রমে ভাবি সাজিয়া আক্তার (৪৫), বোন শাহিন (৩০) ও ভাই রাজু (২২)কে আসামি করা হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্টে নিহতের মৃত্যুর কারণ বিষজনিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।