স্বামীসহ দুজনের মৃত্যুদণ্ড

স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যা মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১৭ এপ্রিল, ২০২৫ at ৬:০০ পূর্বাহ্ণ

নগরীর আকবর শাহ এলাকায় স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার দায়ে স্বামীসহ দু’জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন, স্বামী মো. ফরহাদ ও মো. ফরহাদের মামা মো. সেলিম মনির। তারা দু’জনই ভোলার তমুজউদ্দীন থানার গোলকপুর এলাকার বাসিন্দা। গতকাল চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সিরাজাম মুনীরা এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় দণ্ডিত দু’জন কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ দৈনিক আজাদীকে বলেন, স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যার মামলায় স্বামীসহ দু’জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি উভয়কে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অপর একটি ধারা তথা হত্যার পর লাশ গুমের দায়ে দুই আসামিকে ৩ বছর করে কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। পুরো বিচার প্রক্রিয়ায় ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান বেঞ্চ সহকারী।

আদালতসূত্র জানায়, ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর গৃহবধূ জেসমিন খুনের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলার নথি থেকে জানা যায়, ভিকটিম জেসমিন পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। ঘটনার দিন দিনমজুর স্বামী ফরহাদ আকবরশাহ এলাকার একটি পাহাড়ে তাকে নিয়ে যান। সেখানে মামা মো. সেলিম মনিরের সহযোগীতায় জেসমিনকে গলা টিপে হত্যা করেন। এরপর পাহাড়ের ঝোপের মধ্যে মরদেহ ফেলে দেওয়া হয়। মামলার নথি থেকে আরো জানা যায়, জেসমিন বিবাহিত ছিলেন। তার দুটি সন্তান ছিল। ভরণপোষণ না দেওয়ায় তিনি স্বামীর সাথে থাকতেন না, আলাদা থাকতেন। পরে দিনমজুর মো. ফরহাদের সাথে তার প্রেম হয়। এরপর তারা বিয়ে করেন। মো. ফরহাদের এটি দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। এদিকে জেসমিনের লাশ উদ্ধার পরবর্তী পুলিশ মো. ফরহাদকে গ্রেপ্তার করলে তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবিন্দ দেন। জবানবিন্দতে তিনি বলেন, দুই সংসার নিয়ে টানাটানিতে হতাশ হয়ে জেসমিনকে খুন করা হয়। আদালতসূত্র জানায়, জেসমিন খুনের মামলায় ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ। এরপর ২০২২ সালের ১৭ অগাস্ট তাদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফটিকছড়িতে মোটরসাইকেল থেকে নদীতে পরে যুবক নিখোঁজ
পরবর্তী নিবন্ধবেড়ানোর কথা বলে ভাগিনাকে অপহরণ, মুক্তিপণ না পেয়ে হত্যা