ভূজপুরের বাগানবাজারের দক্ষিণ মোহাম্মদপুর এলাকায় দাহ্য পদার্থ কেরোসিন ঢেলে গৃহবধূকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার দায়ে তার স্বামী ইমাম হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত না থাকায় ইমাম হোসেনের পিতা আবুল কাশেমকে খালাস দেওয়া হয়েছে। গতকাল চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এ রায় ঘোষণা করেন।
এ সময় আসামি ইমাম হোসেন কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী কপিল উদ্দিন আজাদীকে বলেন, বিচার প্রক্রিয়ায় মোট ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য এবং একজনের সাফাই সাক্ষ্য রেকর্ড করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ১৩ মার্চ রাতে ভূজপুরের বাগানবাজারের দক্ষিণ মোহাম্মদপুর এলাকায় দাহ্য পদার্থ কেরোসিন ঢেলে গৃহবধূকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় গৃহবধূর পিতা মো. আব্দুল গফুর বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বিয়ের পর কিছুদিন কোন সমস্যা না হলেও পরে ভিকটিমকে নির্যাতন করতেন আসামি। দুজন কন্যা সন্তান থাকায় তাকে তার স্বামী তথা আসামি ও পরিবারের অন্যরা কটূক্তি করতেন। এ নিয়ে সালিশ ডেকে সমাধানের চেষ্টা করা হলেও আসামি নির্যাতন চলমান রাখেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের ১৩ মার্চ রাতে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়। রাতে দেরীতে কেন ঘরে ফেরা এ কথা জানতে চাইলে নির্যাতন শুরু করা হয়। পরে ভিকটিমের পরিবারকে ফোন করে জানানো হয়, ভিকটিম নিজেই নিজের গায়ে আগুন দিয়েছেন। ট্রাইব্যুনালসূত্র জানায়, এ ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি ও তার পিতার বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর চার্জশিট দাখিল করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ট্রাইব্যুনাল চার্জগঠনের মাধ্যমে আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দেন।