হাটহাজারীর ফরহাদাবাদে শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার গৃহবধূ আয়েশা আকতারের (২০) লাশ ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল শনিবার বাপের বাড়ি গুমানমর্দ্দনে দাফন করা হয়েছে। ১০ মাস বয়সী শিশু পুত্রের জননী আয়েশা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলা হলেও নিহতের ভাই মো. ফয়েজ তার বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে হাটহাজারী মডেল থানায় একটি জিডি করেছেন।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নুর মোহাম্মদ ফকির বাড়ির মাহফুজুল ইসলামের স্ত্রী আয়েশা আকতারের মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর গুমানমর্দ্দন ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আলিমুদ্দিন হাজী বাড়ির মৃত শাহ আলমের মেয়ে আয়েশার সঙ্গে পারিবারিকভাবে ফরহাদাবাদের প্রবাসী আবুল কাশেমের পুত্র মাহফুজের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ১০ মাস বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
নিহতের ভাই মো. ফয়েজ বলেন, আমার বোনকে তার স্বামীসহ পরিবারের অন্যরা গত কোরবানি ঈদে গরু না দেওয়াসহ নানা কারণে নির্যাতন করত। দেবর, ননদ, স্বামী ও শাশুড়ি যোগসাজশে বোনকে হত্যা করেছে বলে দাবি তার। তবে স্বামী মাহফুজ দাবি করেন, আয়শার সঙ্গে আমার এবং পরিবারের ভাল সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সে বছর খানেক ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল। গত শবে বরাতের আগে তাকে ডাক্তারও দেখানো হয়। নিয়মিত ওষুধ চলছিল। মানসিক অসুস্থতা থেকেই আত্মহত্যা করতে পারে বলে তার ধারণা।
থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে হত্যা নাকি আত্মহত্যা। এরপর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।