স্বাধীনতাবিরোধীদের চক্রান্ত থামেনি : প্রধানমন্ত্রী

মহামারীকালে ছাত্রলীগের ভূমিকার প্রশংসা

| মঙ্গলবার , ৫ জানুয়ারি, ২০২১ at ৬:৩২ পূর্বাহ্ণ

মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশকে দমিয়ে রাখতে স্বাধীনতাবিরোধীরা যে চক্রান্ত শুরু করেছিল, তা এখনও থেমে যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ আবার উন্নতি করতে পারে এটা তারা (স্বাধীনতা বিরোধী চক্র) কখনও মানতে চায়নি। বরং বাংলাদেশকে তারা ব্যর্থ করতে চেয়েছিল। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় সব কিছু যেন নস্যাৎ হয়ে যায়- এটাই ছিল তাদের লক্ষ্য। এটা হলো বাস্তবতা, এবং সেই চক্রান্ত চলছে। এখনও একেবারে থেমে গেছে তা না।
করোনাভাইরাস মহামারীকালে ছাত্রলীগের ভূমিকার প্রশংসা করে সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের সমালোচনা উপেক্ষা করে কাজ করে যেতে বলেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল সোমবার আয়োজিত আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মহামারী মোকাবেলায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, তোমরা যে কাজগুলো করে গেছ, তার জন্য সব সময় আমরা সাধুবাদ জানাই। আমি জানি হয়ত ক্ষেত্রবিশেষে কোথাও কোথাও দুই-একটা ঘটনা ঘটে। আর আমাদের কিছু পত্র-পত্রিকা আছে, যতই ভালো কাজ কর, সেটা লেখার তাদের যোগ্যতা নেই। যদি কোথাও এতটুকু খুঁত পায়, সেটিকে বড় করে লিখতে পারে। এটা তাদের মন-মানসিকতার দৈন্য বলেই আমি মনে করি। কাজেই ওগুলো আমি বেশি একটা হিসেবে ধরি না। খবর বাংলানিউজ ও বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, আমি দেখি যে বৃক্ষরোপণ করা, ধান কেটে কৃষককে সহযোগিতা করা বা করোনাভাইরাসের সময়ে আক্রান্ত রোগী এবং যারা মৃত্যুবরণ করেছে তাদের পাশে দাঁড়ানো, তাদের সাহায্য করা, ঘরে ঘরে খাদ্য পৌঁছে দেওয়া, যখন ঝড় আসল, সেই ঝড়ের সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো, এই যে মানুষের সেবার জন্য যেই কাজগুলো করে যাচ্ছ, সেটাই হচ্ছে বড় কাজ। মহামারী মোকাবেলায় কোনো কাজকে অবহেলা না করে বা ছোট মনে না করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কৃষকদের ধান কাটতে এগিয়ে আসায় তাদের প্রশংসা করেন শেখ হাসিনা।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, বড় সে হতে পারে যে নিজেকে ছোট করে দেখতে পারে। আর উপর দিকে তাকিয়ে চলতে গেলে হোঁচট খেতে হয়। সেজন্য মাটির দিকে তাকিয়ে চলতে হয়। এটা আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন, বাবা-মা শিক্ষা দিয়েছেন। দাদা-দাদি শিক্ষা দিয়েছেন। সেই কথাটা মনে রাখতে হবে। তিনি বলেন, মনে রাখবে, যে আদর্শ নিয়ে গড়ে তুলতে পারবে নিজেকে, সেই কিন্তু সফল হবে। আর যদি অর্থ সম্পদের দিকে নজর চলে যায়, কখনও সফল হতে পারবে না।
ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আলোচনা অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বক্তব্য দেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে মৃত্যুহীন আরেকটি দিন
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথের দুরবস্থা কাটবে কবে