একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেছেন, গুণী মানুষের সম্মান না করলে গুণী জন্মায় না। পণ্ডিত বিজন চৌধুরী এমনই একজন গুণী ব্যক্তি, যিনি আজীবন সুর তাল লয়ের সাধনা করে গেছেন। অর্ধশতাব্দী ধরে তিনি সংগীত সাধনায় মগ্ন ছিলেন। তাঁর জীবনের সুর ছিল তবলার তালে বাঁধা। জাদুকরি হাতের বাদনে রীতিমতো কথা বলে উঠতো তবলা। তাঁর বাজানো মোহনীয় বোলে নেচে উঠতো শ্রোতার হৃদয়। সংগীতের মধ্যে থেকেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন তিনি। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে চির ভাস্বর হয়ে থাকবেন পন্ডিত বিজন কুমার চৌধুরী।
গতকাল ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে থিয়েটার ইনিস্টিটিউটে আনন্দী সঙ্গীত একাডেমির উদ্যোগে পণ্ডিত বিজন কুমার চৌধুরীর ৮৪ তম জন্মদিন ও নবম প্রয়াণ বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দুইদিনব্যাপী স্মৃতিচারণ ও উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতানুষ্ঠানের উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
এম এ মালেক বলেন, জীবনে সাফল্যের চূড়ায় উঠতে হলে স্বপ্ন দেখতে হবে। স্বপ্ন দেখার সাধটুকু বাঁচিয়ে রাখতে হবে। যেকোনো কাজে লেগে থাকতে হবে। আমার একুশে পদক প্রাপ্তি তারই ফসল। সাংবাদিকতায় লেগে ছিলাম কিছু প্রাপ্তির আশায় নয়। প্রাপ্তির আশায় কিছু করলে সে আনন্দ উপভোগ করা যায় না। তিনি আনন্দী সঙ্গীত একাডেমির প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মা, বাবা ও শিক্ষক নিঃস্বার্থভাবে তোমাদের জন্য করে যান। তাদের কথা অনুযায়ী কাজ করলে জীবনে তোমরা সফল হবেই।
স্মৃতিচারণের আগে পণ্ডিত বিজন কুমার চৌধুরীর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আনন্দী সঙ্গীত একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ সেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শিল্পী রাজু দাশগুপ্ত। সভাপতিত্ব করেন আনন্দী সঙ্গীত একাডেমির সভাপতি বিশুতোষ তালুকদার।
স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বে ছিল সমবেত তবলা লহড়া ও শাস্ত্রীয় সঙ্গীতানুষ্ঠান।