স্থায়ী কমিটির সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত পুরোপুরি কার্যকর হয় না

দাবি একাধিক সদস্যের, ক্ষোভ

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৯ নভেম্বর, ২০২৩ at ৬:০৭ পূর্বাহ্ণ

স্থায়ী কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত পুরোপুরি কার্যকর হয় না দাবি করে ক্ষোভ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য। গতকাল থিয়েটার ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত চসিকের বর্তমান পর্ষদের ৩৪তম সাধারণ সভায় ক্ষোভ জানান তারা। এতে সভাপতিত্ব করেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

সভায় স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সভাপতি দাবি করেন, স্থায়ী কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয়ে আলোচনা হলেও তা পাশ কাটিয়ে বিভাগীয় প্রধানরা সরাসরি মেয়রের সঙ্গে আলোচনা করে অনুমোদন করে ফেলেন। অথচ হওয়ার কথা ছিল প্রথমে স্থায়ী কমিটি অনুমোদন করবে। এরপর সেটা সাধারণ সভায় অনুমোদনের পর বাস্তবায়ন করা হবে। এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটায় স্থায়ী কমিটিগুলো গুরুত্ব হারাচ্ছে এবং স্থায়ী কমিটির সভাও নিয়মিত হয় না।

জানা গেছে, স্থানীয় সরকার আইন (সিটি কর্পোরেশন) ২০০৯এর ৫০ ধারা অনুযায়ী, ১৪টি স্থায়ী কমিটি গঠনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। চসিকে বর্তমানে ১৯টি স্থায়ী কমিটি রয়েছে। গতকালের সাধারণ সভায় মাত্র দুটি স্থায়ী কমিটির সভার কার্যবিবরণী উপস্থাপন করা হয়েছে বলে জানান এক কাউন্সিলর। স্থায়ী কমিটি গুরুত্ব হারায় নিয়মিত সভা না হওয়ায় এমনটি হয়েছে বলে জানান তিনি।

একটি স্থায়ী কমিটির সভাপতি সভায় অভিযোগ করেন, স্থায়ী কমিটিতে সিদ্ধান্তের পরও তা বাস্তবায়ন হয় না। তখন মেয়র বলেন, সবসময় হয় না তা ঠিক নয়। অনেক সময় সক্ষমতার অভাবে বাস্তবায়ন করা যায় না। কর্পোরেশনে লোকবলেরও সংকট আছে।

নগর পরিকল্পনা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ১৩ নং পাহাড়তলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ওয়াসিম উদ্দীন চৌধুরী আজাদীকে বলেন, সভায় স্থায়ী কমিটির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত পুরোপুরি কার্যকর হয় না। এক্ষেত্রে আমলাতান্ত্রিক জটিলতাসহ কিছু কারণ থাকে। এগুলোই সাধারণ সভায় বলেছি।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী আজাদীকে বলেন, কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তা বিধিসম্মত কিনা সে বিষয়ে স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা হবে এবং তাদের মতামত সাপেক্ষে তা সাধারণ সভায় উপস্থাপন হওয়ার কথা। কিন্তু সেভাবে হচ্ছে না। এক্ষেত্রে স্থায়ী কমিটির মতামত নেওয়া হয়েছে কিনা সে বিষয়ে সাধারণ সভায় কেউ প্রশ্ন করেন না। প্রশ্ন হলে এমন হতো না এবং জবাবদিহিতাও তৈরি হতো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনেতাকর্মীরা যে কারো পক্ষে কাজ করতে পারবেন?
পরবর্তী নিবন্ধএলাকার দাগী কিছু লোক সুবিধা না পেয়ে প্রলাপ বকছেন : লতিফ