স্থানীয় নির্বাচনে দল বাজে ফল করার পর ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) প্রধানের পদ ছেড়ে দিয়েছেন স্ব-শাসিত দ্বীপ তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। শনিবারের নির্বাচনে রাজধানী তাইপেসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক এলাকার ভোটে বিরোধীদল কুওমিনতাংয়ের (কেএমটি) প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বিভিন্ন এলাকা ও শহরের মেয়র পদের ২১টির মধ্যে ১৩টিই কুওমিনতাংয়ের কব্জায় গেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বিবাদের ক্ষেত্রে অন্যতম বড় ইস্যু তাইওয়ানের এই স্থানীয় নির্বাচনের দিকে পশ্চিমা মহল অনেক আশা নিয়ে তাকিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত তাদের হতাশ হতে হল। খবর বিডিনিউজের।
প্রেসিডেন্ট সাই শনিবারের নির্বাচনে তার দলের পক্ষে বেশি ভোট পড়বে বলে প্রত্যাশা করেছিলেন। নির্বাচনের ফল এমন হবে প্রত্যাশা করিনি। সব দায়দায়িত্ব আমার কাঁধে নেওয়া উচিত এবং আমি এখনই ডিপিপির চেয়ারউইমেন থেকে পদত্যাগ করছি, বলেছেন সাই। দলের শীর্ষ পদ ছাড়লেও তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করে যাবেন বলে সাংবাদিকদের নিশ্চিতও করেছেন তিনি। স্বশাসিত দ্বীপটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২৪ সালে। শনিবারের স্থানীয় নির্বাচনে ভোটারদের কাছে মূলত অপরাধ, আবাসন ও সমাজ কল্যাণের মত ইস্যু প্রাধান্য পেয়েছে। এখানে নির্বাচিতদের চীন বিষয়ে তাইওয়ানের নীতিতে সরাসরি ভূমিকা রাখার এখতিয়ারও নেই।
তবে ভোটের আগে সাই এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা ভোটারদের প্রতি স্থানীয় নির্বাচনকে কাজে লাগিয়ে বেইজিংকে শক্ত বার্তা দিতে আহ্বান জানিয়েছিলেন। তাদের সেই আহ্বান খারিজ করে দেওয়ার পাশাপাশি তাইওয়ানবাসী ভোটার হওয়ার যোগ্যতার বয়স ২০ থেকে কমিয়ে ১৮তে নামানোর প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছে। শনিবার স্থানীয় নির্বাচনের পাশাপাশি এই প্রস্তাবের উপর গণভোট হয়েছিল। চীন তাইওয়ানকে তাদের একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ মনে করে, অন্যদিকে স্ব-শ্বাসিত দীপটির অনেকেই তাদের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ও সরকার বেইজিংয়ের শাসনের বাইরে থাকুক এমনটা দেখতে চান। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি দ্বীপটি সফর করার পর চলতি বছরের অগাস্টে তাইওয়ানকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব, উত্তেজনা চরমে ওঠে।