স্ত্রী-শাশুড়িসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ‘জল্লাদ’ শাহজাহানের প্রতারণার মামলা

| সোমবার , ১ এপ্রিল, ২০২৪ at ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ

প্রতারণার অভিযোগে স্ত্রীশাশুড়িসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ৩২ বছর জেল খেটে মুক্তি পাওয়া শাহজাহান ভূঁইয়া, যিনি কারাগারে বহু মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে ‘জল্লাদ’ পরিচিতি পেয়েছেন। গতকাল রোববার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম এ কে এম রকিবুল হাসানের আদালতে তিনি মামলা করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল কবীর বাবুল জানান। খবর বিডিনিউজের। বিচারক তার জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগটি তদন্তে আগামী ২৭ জুন প্রতিবেদন দিতে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার আসামিরা হলেনশাহজাহানের স্ত্রী সাথী আক্তার ফাতেমা, শাশুড়ি শাহিনুর বেগম, শ্বশুরবাড়ি পক্ষের স্বজন দীন ইসলাম, আজিদা বেগম, রাসেল ও বাবলু। আদালতপাড়ায় শাহজাহান সাংবাদিকদের বলেন, বড় আশা করে সংসার পেতেছিলাম। কিন্তু স্ত্রী ও তার স্বজনরা যোগসাজশে আমাকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে। বিয়ের দেড় মাস পর আমার কাছ থেকে নেওয়া ১০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। এর কয়েক দিন পর আদালতে গিয়ে আমার স্ত্রী সাথী উল্টো আমার নামে মিথ্যা অভিযোগে যৌতুকের মামলা করে। আমি আইনজীবীর পরামর্শে আমার স্ত্রীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আদালতে আমি ন্যায়বিচার পাব বলে আশা করি। আদালতে রোববার শাহজাহানের সঙ্গে তার আইনজীবী মো. ওসমান গনিও ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর খুনি, মানবতাবিরোধী অপরাধীসসহ ২৬ জনের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করে আলোচনায় আসা শাহজাহান ভূঁইয়া ৩২ বছর পর গত বছরের জুনে কারামুক্ত হন। নরসিংদীর পলাশ থানার ইছাখালী গ্রামের এই ব্যক্তি ডাকাতি ও হত্যার মামলায় ১৯৯১ সালের ১৭ মে কারাগারে যান। তার সাজা হয়েছিল ৪২ বছর। পরে জল্লাদের ভূমিকা পালনসহ নানা কারণে তার সাজা রেয়াত হয় ১০ বছর ৫ মাস। সব মিলিয়ে ৩২ বছর পর কারাবাসের পর গত বছরের ১৮ জুন যখন মুক্তি পান, তখন কারাফটকে তার স্বজনদের কেউ ছিল না। ৪০ বছর বয়সেও অবিবাহিত অবস্থায় তিনি কারাগারে গিয়েছিলেন। এরপর ৭৩ বছর বয়সে মুক্তি পাওয়ার কিছুদিন পর বিয়ে করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআকবরশাহ এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধদীঘিনালা থেকে অপহৃত ব্যবসায়ী উদ্ধার গ্রেপ্তার ২