স্ত্রীর মামলা, ধরা পড়েননি জসিম

পাহাড়তলীতে আ. লীগ নেতা খুন

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৬:৫৯ পূর্বাহ্ণ

প্রকাশ্য দিবালোকে খুন হওয়ার পর দুই দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নেতা হোসেন মান্না খুনের আসামি জসিম উদ্দিন ধরা পড়েনি। ইতোমধ্যে নিহত হোসাইন মান্নার স্ত্রী খালেদা আক্তার বাদী হয়ে পাহাড়তলী থানায় মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন ওসি (তদন্ত) রোজিনা খাতুন। এদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, মাত্র আট হাজার টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের বিষয়টা দলের নেতৃবৃন্দ আরও শক্ত হাতে সামাল দিলে এমন নৃশংস ঘটনা নাও ঘটতে পারতো। তারা বলেন, কোরবানির ঈদে একত্রে কোরবানী দেয়া এক বন্ধু অন্য বন্ধুকে হতসার ঘটনাটি নষ্ট রাজনীতির ফসল। স্থানীয়রা আরও জানান, চট্টগ্রাম১০ (ডবলমুরিং, পাহাড়তলী ও হালিশহর) আসনের উপ নির্বাচনে হাজি ক্যাম্প ভোট কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের পরিচালনা কমিটির দায়িত্বে ছিলেন স্থানীয় নেতা হোসাইন মান্না। কেন্দ্র কমিটির সদস্য ছিলেন জসিম উদ্দিন। ওই কেন্দ্রের খরচের টাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। সরাইপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে জসিমকে চড় মেরে বসেন হোসাইন মান্না। এ নিয়ে থানায় অভিযোগের পাশাপাশি আদালতে পাল্টাপাল্টি মামলা হয়। কয়েকদিন আগে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি সমঝোতা করে দেন। রোববার সকালে পুলিশের একটি দল জসিমের দায়ের করা মামলার তদন্তে হোসাইন মান্নার বাড়িতে যায়। পুলিশ চলে যাওয়ার পর এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এ সময় হোসাইন মান্নার ছেলে অমিত বাড়ি থেকে ছুরি নিয়ে আসে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জসিমও তার বাড়ি থেকে ছুরি নিয়ে আসে। হাতাহাতির এক পর্যায়ে হোসাইন মান্নাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে জসিম। বাবাকে বাঁচাতে এসে গুরুতর আহত হন তার ছেলে অমিতও। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় বাবাছেলেকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধছাত্র সংসদ কমিটির দাবিতে অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা বন্ধ করল ছাত্রলীগ
পরবর্তী নিবন্ধদেশি-বিদেশি জাহাজের দ্বন্দ্ব প্রকট