যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার স্থায়ী পদে প্রথম বাংলাদেশি হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন তৌহিদুল ইসলাম। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ফেসবুক পাতায় তার এই ‘অনুসরণীয় সাফল্যের’ খবর দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। খবর বিডিনিউজের।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বলছে, বাংলাদেশ থেকে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের টেনিউর ট্র্যাক (স্থায়ী) পদে তিনিই প্রথম। টেক্সাস এ অ্যান্ড এম থেকে পিএইচডি করা এই গবেষক গবেষণা করেছেন রোগনির্ণয়ে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিয়ে। বাংলাদেশের জন্য এক গর্বের মুহূর্ত!
রাজশাহীর চারঘাটে বেড়ে ওঠা তৌহিদুল ২০১৯ সালের জুন থেকে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগে পোস্টডক্টরাল গবেষক হিসাবে কাজ করছেন। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নতুন পদে কাজ শুরু করার কথা ৩০ আগস্ট এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন তৌহিদ।
নিজের সফলতার কথা বলতে গিয়ে তিনি লিখেছেন, গত ছয় মাস অসংখ্য জুম আর অন–সাইট ইন্টারভিউ, স্যালারি নিগোসিয়েসন মিটিং শেষে তিনটি অফার ছিল আমেরিকার প্রথম পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। অনেক চিন্তা আর পিএইচডি পোস্টডক মেন্টরদের সাথে আলোচনা করে স্ট্যানফোর্ড এ জয়েন করার সিদ্ধান্ত নিলাম। আলহামদুলিল্লাহ্! এখন থেকে স্ট্যানফোর্ড কে আমার বাড়ি বলতে পারব। তৌহিদুল বলেন, আমি আমার নতুন ল্যাবের জন্য বেশ কয়েকজন পিএইচডি স্টুডেন্ট এবং পোস্টডক হায়ার করব।
আমার মেইন গবেষণার বিষয়– হাই ডাইমেন্সনাল বায়োমেডিকাল ডেটা (যেমন মেডিক্যাল ইমেজ, জিনমিক্স, ইসিজি, টেক্সট রিপোর্ট) বিশ্লেষণে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা, যেমন– ডিপ লার্নিং, লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলের ব্যবহার। বাংলাদেশি গবেষক– যারা বায়োমেডিক্যাল ডেটা নিয়ে কাজ করেন, আমি তাদের সাথে কোলাবোরেট করতে অত্যন্ত আগ্রহী। এছাড়া নতুন সরকার যদি এআই নিয়ে কোনো কর্ম পরিকল্পনা করে থাকে, তাতে অংশগ্রহণ করতে পারলে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করব।