গাজায় হামালার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত যুদ্ধ আইন মেনে চলার কোনো বাধ্যবাধকতা দেখাচ্ছে না ইসরায়েল। উপরন্তু হাসপাতাল, স্কুল থেকে শুরু করে শরণার্থী শিবির সবখানেই নির্বিচারে বোমা ফেলছে তারা। গত ১৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আল–আহলি আরব হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত পাঁচশ লোক প্রাণ হারায়। ৩ নভেম্বর গাজার আল–শিফা হাসপাতালের বাইরে অ্যাম্বুলেন্স কনভয়ে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়। খবর বাংলানিউজের।
ইসরায়েলও হামলার কথা নিশ্চিত করে। ২২ অক্টোবর গভীর রাতে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বোমা ফেলে ইসরায়েলি বাহিনী এতে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়। ৪ নভেম্বর আবারও শরণার্থী শিবিরে হামলা চালায় তারা। আল–মাগাজি শরণার্থী শিবিরে সেই হামলায় নিহত হয় ৫১ জন। একই দিন গাজার জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরের একটি স্কুলে বোমা হামলা চালায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনী এতে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়। ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজা জুড়ে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ আজও অব্যাহত রয়েছে। এই বোমাবর্ষণে অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডেটিতে মৃতের সংখ্যা দশ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে ৭ অক্টোবরের পর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১০,০২২ জন নিহত হয়েছে আর একই সময়ে আহত হয়েছেন ২৩,৪০৮ জন ফিলিস্ততিনি। এক মাসের অস্থিরতায় ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে নিহতের সংখ্যা ১৬৩ জন আর আহত ২,১০০ জন। গাজায় ইসরায়েলি হামলাগুলোতে ৪ হাজারের বেশি শিশু নিহত হয়েছে।
সমপ্রতি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, গাজা শিশুদের জন্য গোরস্থানে পরিণত হচ্ছে। তবে যে যাই বলুক হতাহতের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। গতরাতেও গাজার রাফা এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় আন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছে। এদিকে হামাসের প্রতিরোধে গাজায় সাড়ে তিনশ’র বেশি ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। এর আগে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি বসতিতে হামাসের হামলায় ১,৪০৫ জন নিহত হয়, তাছাড়া আহত হয় আরও ৫,৬০০ জন। এসময় প্রায় আড়াইশ’ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস।