করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আপাতত খুলছে না বলেই জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্য সব প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও খুলে দিতে সংসদে দাবি ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সংসদে একথা জানান তিনি। বিশেষ অধিবেশনের সমাপনী দিনে বিরোধীদলীয় উপনেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি তোলেন। তিনি বলেন, ‘মার্চ থেকে স্কুল-কলেজ বন্ধ। অটো পাস চালু করা হয়েছে। অফিস-আদালত বন্ধ করা হচ্ছে না। শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার যৌক্তিকতা দেখি না। পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রেখে অটোপাস মেধাবীদের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে। যারা ক্লাস করতে চান, তাদের জন্য খুলে দেওয়া উচিত। যারা পরীক্ষা দিতে চান তাদের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিৎ।’ সমাপনী ভাষণে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর জবাবে ইউরোপ-আমেরিকায় স্কুল খুলে দেওয়ার পর তা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হওয়ার উদাহরণ দেন। তিনি বলেন, মাঝে দেশে সংক্রমণ কমে এলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পরিকল্পনার প্রস্তুতি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনাও করেছিলেন। কিন্ত তারপরে দেখলাম যে আবার ইউরোপে দেখা দিল। এই যে ছেলে-পেলেগুলো স্কুলে যাবে, বাচ্চারা, শিক্ষকরা বা তার গার্ডিয়ানরা, তাদের সবার যেতে হবে। এটা একটা সংক্রামক ব্যাধি, এখনও এটার চিকিৎসাই বের হয়নি। সেইখানে এই ঝুঁকিটা আমরা ছেলে-মেয়েদের জন্য কেন নেব?’ খবর বিডিনিউজের।
আট মাস ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সমস্যাটি উপলব্ধি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “হ্যাঁ, এটা ঠিক যে স্কুলে না যেতে পেরে বাচ্চাদেরও কষ্ট হচ্ছে। কারণ আজকাল তো সবাই সুখী পরিবার বানাতে গিয়ে হয়ত একটা বাচ্চা, দুটো বাচ্চা ঘরে এককভাবে থাকে। আগে তো একান্নবর্তী পরিবার ছিল, সবাই এক সাথে থেকে হেসেখেলে চলত। এখন তো সেই সুযোগটা কম। যেজন্য বাচ্চাদের খুবই কষ্ট। এতে কোনো সন্দেহ নাই। তারপরও তাদের তো মৃত্যুর ঝুঁকিতে আমরা ঠেলে দিতে পারি না।