করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে এক বছর বন্ধ থাকার পর আগামী ৩০ মার্চ স্কুল ও কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সচিবালয়ে আজ শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এই সিদ্ধান্ত জানান সাংবাদিকদের।
তিনি বলেন, “৩০ মার্চ থেকে খুললেও সব শিক্ষার্থী প্রতিদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাবে না।” বিডিনিউজ
দেশে করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে গত বছরের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে কওমি মাদ্রাসা বন্ধ থাকলেও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনও ‘ছুটি’ চলছে।
মহামারীর প্রকোপ কিছুটা কমে আসায় এবং এ বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতির কথা বিবেচনা করে গত ২৩ জানুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) স্কুল-কলেজের অধ্যক্ষদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলার প্রস্তুতি নিতে বলেছিল।
তার মধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে নামলে সম্প্রতি জরুরি এক বৈঠক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ২৪ মে খোলার সিদ্ধান্ত নেয়। তারপর স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্তও হলো।
দীপু মনি বলেন, “প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আমরা আগামী মার্চ মাসের ৩০ তারিখ থেকে খুলে দেব। সেখানে আমরা আগেও যেভাবে বলেছি যে হয়ত পর্যায়ক্রমে, একদম প্রথমে প্রাথমিকে যারা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত তারা হয়ত প্রতিদিনই আসবে এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে দশম ও দ্বাদশ প্রতিদিন আনব। বাকিগুলো হয়ত প্রথমে সপ্তাহে একদিন আসবে, তারপর থেকে সপ্তাহে দুইদিন করে আসবে। তারপর পর্যায়ক্রমে আমরা স্বাভাবিকের দিকে নিয়ে যাব।”
প্রাক-প্রাথমিক পর্যায় আপাতত খুলছে না বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, “পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি শিক্ষকদের জন্য যে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার কার্যক্রম তা এর মধ্যে শেষ হবে।”
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় রোজার ছুটি এবার কমবে বলে জানান দীপু মনি।
কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে গত বছর পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনী পরীক্ষা এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া যায়নি।
আর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হয়েছে অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসি ও সমমানের ফলাফলের ভিত্তিতে।