তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, স্কুল–কলেজের কার্যক্রম শুধু পাঠদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সেখানে একজন ছাত্রের বহুমুখী প্রতিভার বিকাশ ঘটে। অনেক কিছু শেখার জায়গা হচ্ছে কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল। গতকাল দুপুরে সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসীন কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। নগরীর টাইগারপাসস্থ নেভি কনভেনশন হলে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মহসীন কলেজ অ্যালামনাই এসোসিয়েশন। অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবাদপত্র দৈনিক আজাদী সম্পাদক একুশে পদকপ্রাপ্ত এম এ মালেক।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমার স্কুলই আমার জীবনের ভিত রচনা করে দিয়েছে। স্কুলের মহান শিক্ষকদের সান্নিধ্য যদি না পেতাম তাহলে আমি কখনো আজকের এই জায়গায় দাঁড়াতে পারতাম না। একইভাবে কলেজেরও কিছু শিক্ষকের কথা মনে পড়ে, বিশেষ করে সুমঙ্গল স্যারের কথা। কারণ ওনার কাছে আমি প্রাইভেটও পড়তাম। তিনি এখানে আছেন। আরো অনেক শিক্ষক ছিলেন, যাদের সান্নিধ্য আমাদের জীবন গড়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে। মহসীন কলেজ চট্টগ্রামের সেরা কলেজের মধ্যে একটি বলেও মন্তব্য করেন কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ড. হাছান মাহমুদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেন, এটি অন্যরকম এক মিলন মেলা। পুরনো বন্ধু–বান্ধবদের সাথে অনেক দিন পর দেখা। কথা হবে, আড্ডা হবে। দিনটি উপভোগের। আমাদের জীবন খুবই সংক্ষিপ্ত। মানুষ পরাজিত হতে পৃথিবীতে আসেনি।
দরিদ্র–অসহায় শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করতে অ্যালামনাই এসোসিয়েশনকে একটি তহবিল গঠনের আহ্বান জানিয়ে এম এ মালেক বলেন, আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২টি স্কলারশিপ দিয়ে আসছি। এর মধ্যে দুটি সাংবাদিকতা বিভাগে। আর বাকি দশটি অন্যান্য বিভাগে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের প্রতি মাসে দেড় হাজার টাকা করে দিয়ে থাকি। আপনারাও (অ্যালামনাই এসোসিয়েশন) একটি তহবিল গঠন করতে পারেন, যাতে দরিদ্র ও অসহায় শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করা যায়। দৈনিক আজাদী সম্পাদকের বক্তব্যের সূত্র ধরে তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদও একই আহ্বান জানান।
বক্তৃতার এক পর্যায়ে তথ্য মন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এমন কিছু কর্মসূচি করবে যেগুলো সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেবে। সমাজহিতৈষী কাজ করার ক্ষেত্রে সুযোগ তৈরি করবে। বিশেষ করে বর্তমান শিক্ষার্থীদের জীবন গড়ার ক্ষেত্রেও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ভূমিকা রাখবে। মহসীন কলেজের প্রচুর অ্যালামনাই সমাজে প্রতিষ্ঠিত এবং বিত্তবানও আছে। অনুষ্ঠানে আজাদী সম্পাদক এম এ মালেককে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়।
প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অনেকেই অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করেন। সাংস্কৃতিক আয়োজন ছাড়াও নানা কর্মসূচিতে দিনটি পার করেছেন কলেজটির প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।