নিজ বিদ্যালয়ের এক শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় রাউজানে এক শিক্ষক জেল হাজতে গেছেন। ওই শিক্ষকের নাম প্রদীপ কুমার দে (৬৫)। তিনি পশ্চিম ডাবুয়া আমীরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
যৌন হয়রানির শিকার শিশু পরিবারের অভিযোগ এই ঘটনায় প্রদীপকে সহযোগিতা করেছে বিদ্যালয়ের অপর এক নারী শিক্ষিকা। যৌন হয়রানির শিকার ওই শিশু বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী। ঘটনাটি প্রায় এক মাস আগের হলেও মামলা হয় গত ৮ অক্টোবর। এরপর অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।
খবর নিয়ে জানা যায়, ঘটনা গত ১৮ সেপ্টেম্বরের হলেও পরবর্তীতে আপোষ রফার চেষ্টা চলছিল। কিন্তু তা ব্যর্থ হলে ওই শিক্ষার্থীর পক্ষে শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয় গত ৮ অক্টোবর। পরদিন ৯ অক্টোবর ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
হয়রানির শিকার শিক্ষার্থীর পরিবারের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক প্রদীপ কুমার দে তাদের মেয়েকে যৌন হয়রানি করে আসছিল। এ কারণে সে বিদ্যালয়ে যেতে অনীহা প্রকাশ করতো। পরিবারের সদস্যরা বিদ্যালয়ে না যাওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করলে সে ঘটনা জানায়। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে ৮ অক্টোবর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এই ঘটনাটি গত শনিবার ফেসবুকে পোস্ট করে স্থানীয়দের কয়েকজন। এতে এলাকার লোকজনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। গতকাল রোববার এই ঘটনার প্রতিবাদে কিছু যুবক ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করে বিদ্যালয়ের বাইরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নুরুল আবছার দাবি করেন ঘটনাটি সাজানো। স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ ঘটনা সাজিয়েছেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে এই বিদ্যালয়ে সুনামের সাথে চাকুরি করছেন প্রধান শিক্ষক প্রদীপ দে।
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক প্রদীপ কুমার দে রাউজানের পশ্চিম গুজরার খগেন্দ্র চৌকিদার বাড়ির মৃত নাই মোহন দে’র সন্তান। স্থানীয় চিকদাইর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই হুমায়ুন কবীর যৌন হয়রানির মামলায় শিক্ষক প্রদীপকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানোর কথা জানিয়েছেন।