চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটের বিলাস বহুল ও দ্রুতগামী যাত্রীবান্ধব ট্রেন সোনার বাংলায় গত পঁাঁচ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে ক্যাটারিং সার্ভিস। সোনার বাংলা ট্রেনের যাত্রার শুরু থেকে যাত্রীদের মাঝে খাবার সরবরাহ করত পর্যটন কর্পোরেশন। কিন্তু গত জুনে পর্যটন কর্পোরেশনের সাথে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এরপর থেকে যাত্রীদের মাঝে খাবার ও পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে করে বিঘ্নিত হচ্ছে যাত্রীসেবা। ক্যাটারিং সার্ভিস বন্ধ থাকায় সোনার বাংলার বেশ কয়েকজন যাত্রী ফোন করে তাদের ক্ষোভের কথা জানান। ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানিকৃত ২শ যাত্রীবাহী মিটার কোচের প্রথম চালান থেকে ২০১৬ সালের ২৫ জুন বহুল প্রতীক্ষিত নতুন এই আন্তঃনগর ট্রেন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোনার বাংলা মঙ্গলবার ছাড়া সপ্তাহে ৬ দিন ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করে।
এ ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, সোনার বাংলা এক্সপ্রেস চালু হওয়ার পর থেকে ক্যাটারিংয়ে খাবার সরবরাহ করত পর্যটন কর্পোরেশন। গত জুনে তাদের সাথে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এখন পর্যটন কর্পোরেশনের সাথে নতুন করে চুক্তি হবে নাকি অন্য কারো সাথে হবে, সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি রেল ভবনে জানানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত যেভাবে আসবে সেভাবে করা হবে। হয়ত সহসা করা হবে। খাবারের মানের বিষয় আছে। তাই হুট করে কাউকে দিতে পারছি না। তিনি জানান, যখন পর্যটনের সাথে চুক্তি ছিল তখন টিকিটের সাথে খাবারের ১৯৫ টাকা যুক্ত ছিল। এখন যেহেতু ক্যাটারিংয়ের দায়িত্ব অন্য কাউকে দেওয়া হয়নি তাই খাবারের ১৯৫ টাকাও নেওয়া হচ্ছে না। যাত্রীদের কাছ থেকে শুধু টিকিটের মূল্য নেওয়া হচ্ছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, বিলাস বহুল লাল-সবুজ কোচের বিরতিহীন এই ট্রেন ঢাকা থেকে যাত্রাপথে বিমানবন্দর স্টেশন ছাড়া অন্য কোনো স্টেশনে দাঁড়ায় না। পাঁচ ঘণ্টা ১০/১৫ মিনিটে ট্রেনটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পৌঁছায়। ১৬টি কোচের এই ট্রেনে স্নিগ্ধা (শীতাতপ চেয়ার), শোভন চেয়ার, এসি বাথ মিলিয়ে ৭৪৬টি আসন রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৭টায় কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে ১২টা ১০/১৫ মিনিটে চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছায়। একই ট্রেন চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ছাড়ে বিকাল ৫টায়। ঢাকা পৌঁছে রাত ১০টা ১০/১৫ মিনেটে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের সুবর্ণ এঙপ্রেস এর চেয়ে ১০ মিনিট কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছায়।
সোনার বাংলা ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী দ্বিতীয় বিরতিহীন ট্রেন। প্রথম বিরতিহীন আন্তঃনগর সুবর্ণ এঙপ্রেস চলাচল শুরু করে ১৯৯৮ সালের ১৪ এপ্রিল। সুবর্ণ শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি ছয়দিন ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলে। এটি বিমানবন্দর ছাড়া অন্য কোনও স্টেশনে থামে না।