এই ক‘দিনে সেশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় করা নামটি আবেদ আলী আর সাথে তার সন্তান। কিন্তু তার সাথে আমরা কিছু হুজুগেও রয়েছি। ব্যক্তি আবেদ আলী পাপী তাই বলে তার নামাজ ও দাঁড়ি টুপিকে কেন ট্রল করছেন? সে যে রোজা রেখেছিল, সে যে দান খয়রাত করেছিল, সে হজ্ব করেছিল এই বিষয়ে গুলো কি ট্রলের বস্তু? যে কোন সময় একদল লোক ধর্মকে ব্যঙ্গ করার জন্য উঠে পড়ে। ব্যক্তি আবেদ আলী সে চোর সে প্রতারক সে ধর্মের অপব্যবহার করেছে। সেই ব্যক্তি আবেদ আলীকে ঘৃণা করুন। সে ধর্মকে ঢাল বানিয়েছে এটা তার অপরাধ অথচ তার সব ধর্মীয় রূপকে সবাই সামনে এনে ধর্মকে অপমানিত করা হয়েছে। আমাদের দেশে সকল ধর্মের অনুসারী আছে। প্রত্যেকেই নিজ নিজ ধর্ম পালন করে।
আজ পর্যন্ত কাউকে দেখলাম না অন্যান্য ধর্মের কোন লোক অপরাধ করলে তখন কেউ বলেনা সে তার ধর্মকে পূঁজি করেছে। সেও কিন্তু পূজা করে, মন্দিরে, গীর্জায়, প্যাগোডায় যায়। তাহলে কেন শুধু মাত্র ধর্মীয় লেবাসের কারণে অপরাধীর ধর্মকে অবমাননা করা হবে? আবার সেটা অধিকতর একই ধর্মের লোকদের কাছ থেকে। আবেদ আলী ছাড়াও আমাদের সমাজে অহরহ লোক আছে যারা ধর্মীয় লেবাসে সুদ, ঘুষ, অপকর্মে লিপ্ত। তাই বলে ধর্মীয় ছবি গুলোকে আপনারা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ইসলাম ধর্মকে হেয় প্রতিপন্ন করার কোন অবকাশ নেই। খোঁজ নিয়ে দেখুন আপনার পরিবারে, সমাজে, আত্মীয় স্বজনের মধ্যে এরকম দুই একজন আবেদ আলী লুকিয়ে আছে। তাদের ছবিটা সবার সামনে উন্মোচন করুন। শুধু আবেদ আলী নয় সমাজের সব আবেদ আলীর এই ধরনের অপরাধের শাস্তি হোক।