সেহেরির আগ পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা

জাহেদুল কবির | শনিবার , ৬ এপ্রিল, ২০২৪ at ৬:০২ পূর্বাহ্ণ

ঈদের বাকি আছে আর ৪৫ দিনের মতো। তাই শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা সারতে ক্রেতারা এক মার্কেট থেকে আরেক মার্কেট ছুটছেন। অন্যদিকে সম্প্রতি গরমের তীব্রতাও বেড়েছে। এছাড়া শেষ সময়ে ক্রেতা আকর্ষণে অনেক শো রুম মূল্য ছাড়ও দিয়েছে। ছাড়মূল্যে পণ্য কিনতে ক্রেতারাও শো রুমগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। অপরদিকে নারীদের বিউটি পার্লার, ছেলেদের সেলুন, আতর টুপির দোকানেও বেড়েছে ভিড়।

গতকাল সন্ধ্যায় নগরীর নিউমার্কেট বিপণী বিতান, রেয়াজুদ্দিন বাজার, তামাকুমণ্ডি লেইন, জহুর হকার্স মার্কেট, টেরিবাজার, চকবাজারের মতি টাওয়ার, কেয়ারি, বালি আর্কেড ২ নম্বর গেট শপিং কমপ্লেক্স, মিমি সুপার মার্কেট, আফমি প্লাজা, ফিনলে স্কয়ার, সেন্ট্রাল প্লাজা, ইউনেস্কো সিটি সেন্টার, আমিন সেন্টার, ভিআইপি টাওয়ার, স্যানমার ওস্যান সিটি, আখতারুজ্জামান সেন্টার, সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে ও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিক্রেতারা খুব ব্যস্ত সময় পার করছেন। কোনো রকম বিরক্তি ছাড়া ক্রেতাদের তারা বিভিন্ন পোশাকের বর্ণনা দিচ্ছেন। নগরীর মুরাদপুর থেকে টেরিবাজারে এসেছেন দুই বোন ইফসিতা ইসলাম ও সিনথিয়া ইসলাম। তারা জানান, ঈদের কেনাকাটা প্রায় শেষ এখন বাসার কাজের লোকের জন্য শাড়ি লুঙ্গি কিনতে এসেছি। নিউ মার্কেটে আসা গৃহিণী সুলতানা রাজিয়া বলেন, নিজের জন্য শাড়ি ও মেয়ের জন্য ফ্রক কিনতে এসেছি। কিন্তু বিক্রেতারা বেশি দাম হাঁকছেন।

শফিউল আজম নামের এক বিক্রেতা বলেন, এ বছর ঈদের বেচাবিক্রি গত বছরের তুলনায় কিছুটা খারাপ। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে পোশাকের আমদানি খরচ বেড়ে গেছে। ফলে দামও বাড়তি নিতে হচ্ছে। আবার অনেকের কেনাকাটার বাজেট কম, তারা বেশি দামে পোশাক কিনতে পারছে না।

নিউ মার্কেটে ছাড়মূল্যে পাঞ্জাবী কিনতে এসেছেন কলেজ ছাত্র আবরার আহমেদ। তিনি বলেন, ঈদের সময় আর বেশি নেই। তাই পাঞ্জাবী কিনতে এসেছি। শুনেছি এখানে কয়েকটি শোরুমে ডিসকাউন্টে (ছাড়মূল্যে) পাঞ্জাবী বিক্রি করছে। বাজেট কম, তাই পাঞ্জাবীর দাম কমার অপেক্ষায় ছিলাম।

পৌর জহুর হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সদস্য সচিব মো. ফজলুল আমিন বলেন, মার্কেটে এখন জমজমাট বেচাবিক্রি চলছে। সন্ধ্যার পর থেকে সেহেরির আগমুহূর্ত পর্যন্ত ক্রেতাদের আনাগোনায় মুখর থাকে প্রতিটি দোকান। প্রতি বছরের মতো এ বছরও আমাদের ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের জন্য সব ধরনের কালেকশন নিয়ে হাজির হয়েছেন। জহুর হকার্স মার্কেটএমনিতেই কম টাকায় ভালো মানের পণ্যের জন্য আলাদা খ্যাতি রয়েছে। আমাদের মার্কেটে সব শ্রেণীর ক্রেতারাই আসেন।

টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহমদ হোছাইন বলেন, টেরিবাজার সব ধরনের পোশাকের জন্য বিখ্যাত। ক্রেতা সন্তুষ্টিকে প্রাধান্য দিয়ে আমাদের ব্যবসায়ীরা যুগ যুগ ধরে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। ঈদ বাজারেও আমাদের ক্রেতারা ভালো মানের পণ্য কিনে হাসিমুখে বাড়ি ফিরছেন।

রেয়াজউদ্দিন বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি ছালামত আলী বলেন, ঈদের বাকি আর এক সপ্তাহও নেই। এখন প্রত্যেক দোকানের ব্যবসায়ী কর্মচারীদের দম ফেলার ফুসরত নেই। আমাদের রেয়াজউদ্দিন বাজারে পাইকারি ও খুচরা সব ধরনের দোকান আছে। ক্রেতারা আমাদের মার্কেটের ওপর আস্থা রেখে ঈদের কেনাকাটা করতে আসেন, এটি আমাদের জন্য গৌরবের। আমরাও ক্রেতাদের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সব ধরনের চেষ্টা করে থাকি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধব্যাংকসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বাড়তি নিরাপত্তা
পরবর্তী নিবন্ধপবিত্র শবে কদর আজ