জনগণের স্বার্থে নগর উন্নয়নে সিটি কর্পোরেশন, সিডিএ ও চট্টগ্রাম ওয়াসাসহ সকল সেবা সংস্থাকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। সমন্বিত কাজের মধ্য দিয়ে নগরবাসী জলাবদ্ধতার ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল বুধবার সকালে গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডের হাজী মোখলেসুর রহমান রোড সংলগ্ন মহেশ খালের উপর নির্মিত ব্রিজের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। ব্রিজটি নির্মাণের ফলে আগ্রাবাদ সংলগ্ন নিচু এলাকাগুলো জলাবদ্ধতা থেকে কিছুটা মুক্তি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মেয়র।
মেয়র বলেন, সিডিএর চলমান মেগা প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন না হওয়া এবং প্রকল্পের কাজের স্বার্থে খাল ও নালায় অস্থায়ী বাঁধের মাটি উত্তোলন না করার কারণে জলজটের ভোগান্তি থেকে এখনো নগরবাসী মুক্তি পাচ্ছে না। এ সময় মেয়র ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে আগ্রাবাদ ও দেশের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন উল্লেখ করে ভবিষ্যতে এমন দুর্ভোগ থেকে রক্ষায় মেগা প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, নগরের সবচেয়ে বড় সমস্যা জলাবদ্ধতা। আগ্রাবাদ, গোসাইলডাঙ্গা ও হালিশহর এলাকা এমনিতেই নিচু এলাকা। জোয়ারে সময় এই এলাকাগুলো পানিতে ডুবে যায়। তার উপর বর্ষা মৌসুমে অতিমাত্রায় বৃষ্টি হলে জোয়ারের পানি ও বৃষ্টির পানি একাকার হয়ে তীব্র জলজটের সৃষ্টি হয়। মেয়র মেগা প্রকল্পের বাইরে ২১ টি খাল পুনরুদ্ধারের উপর গুরুত্বারোপ করেন। খালগুলো রক্ষায় চসিক ডিপিপি প্রণয়ন করছে বলেও জানান মেয়র।
গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন, প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর জাফরুল হায়দার সবুজ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফেরদৌসী আকবর, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু ছালেহ, মনিরুল হুদা, নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, আনোয়ার জাহান।