কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটের নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে ঢেউয়ের কবলে পড়ে সেন্টমার্টিনের কামাল হোসেনের মালিকানাধীন স্পিড বোটটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় স্থানীয় জেলেরা ৩ শিশুসহ ১৯ যাত্রী উদ্ধার করে মুমূর্ষ অবস্থায়। এদের মধ্যে ৭ জন টেকনাফের রাজমিস্ত্রী ও ১২ জন স্থানীয় বাসিন্দা। এছাড়া অপর দুইজন স্পিডবোটের চালক ও সহকারি।
টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২ টার সময় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটের নাফ নদীর নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এই দূর্ঘটনায় ৩ শিশুসহ ১৯ যাত্রীকে উদ্ধার করে মুমূর্ষ অবস্থায়। খবর পেয়ে যাত্রীবাহি আর একটি স্পিডবোট ও স্থানীয় জেলারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাগরে ভাসতে থাকা লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় আমার পরিষদের এক গ্রাম পুলিশও ছিল। তবে উদ্ধারকৃতদের নাম ও পরিচয় তাৎক্ষণিক ভাবে জানা যায়নি।
সেন্টমাটিন ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়াডের গ্রাম পুলিশ নুরুল হক বলেন, দুপুর ১২ টার দিকে ৩ শিশুসহ ১৯ জন যাত্রী নিয়ে একটি স্পিডবোট সেন্টমার্টিন থেকে শাহপরীর দ্বীপের উদ্দ্যেশে রওনা দেয়। স্পিডবোটটি নাফ নদীর নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে পৌঁছলে বড় ঢেউয়ের আঘাতে উল্টে যায়। এতে স্পিডবোটে থাকা যাত্রীরা পানিতে ভাসতে থাকে। অদক্ষ ড্রাইভারের কারণে এই দুর্ঘটনা হয়েছে। আমিও সাগরে দুইটি বাচ্চা নিয়ে ১ ঘন্টা ভেসেছিলাম। পরে স্থানীয় জেলেরা ও অন্য একটি যাত্রীবাহী স্পিডবোট আমাদেরকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরীকে মোবাইলে ফোন করে ও হোয়াটঅ্যাপে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।