সেন্টমার্টিনে ১৩ রিসোর্ট মালিকের বিরুদ্ধে মামলা

আদেশ অমান্য করে অবকাঠামো নির্মাণ

টেকনাফ প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ৩০ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৮:২২ পূর্বাহ্ণ

প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে নির্মাণাধীন ১২ রিসোর্টের ১৩ জন মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের পরিদর্শক ফাইজুল কবির বাদি হয়ে টেকনাফ থানায় এই মামলা করেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না নেওয়া ও সরকারের আদেশ অমান্য করে অবকাঠামো তৈরির অভিযোগে মামলাটি করা হয়। মামলার আসামিরা হলেন ট্রফিকানা বিচ রিসোর্টের মালিক শেখ ফরহাদ, জলকুটি রিসোর্টের মালিক মমি আনসারি, দক্ষিণা হাওয়ার মালিক ফেরদৌস সাগর, আরণ্যক ইকো রিসোর্টের মালিক মোহাম্মদ খাইরুল আলম, মেঘনা বিচ ভিউ রিসোর্টের মালিক মোশারফ হোসেন, ডিঙি ইকো রিসোর্টের মালিক মো. মোবাশ্বির চৌধুরী, জলকাব্য রিসোর্টের মালিক চপল কর্মকার ও চঞ্চল কর্মকার, গ্রিণ বিচ রিসোর্টের মালিক আজিত উল্লাহ, সূর্যস্নানের মালিক ইমরান, সান অ্যান্ড স্যান্ড টুইন বিচ রিসোর্টের মালিক ইমতিয়াজুল ফরহাদ, নোঙর বিচ রিসোর্টের মালিক সাজ্জাদ মাহমুদ এবং নীল হাওয়ার মালিক আবদুল্লাহ মনির।

বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ অনুযায়ী, দেশে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন ১৩টি এলাকার (ইসিএ) একটি সেন্টমার্টিন দ্বীপ। ইসিএ আইনমতে, এই দ্বীপে এমন কোনো কাজ করা যাবে না যার মাধ্যমে দ্বীপের পানি, মাটি, বায়ু বা প্রাণীর ক্ষতি হয়। এখানে কোনো প্রকার অবকাঠামো নির্মাণও করা যাবে না। ২০২২ সালে একটি প্রজ্ঞাপনে সেন্টমার্টিনকে মেরিন প্রোটেক্টেড এরিয়া ঘোষণা করে সরকার। ঘোষণা অনুযায়ী, সেন্টমার্টিনে ইটসিমেন্ট নেওয়াও নিষিদ্ধ। দ্বীপটিতে শুধু বাঁশকাঠ দিয়ে পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো করা যেতে পারে। তবে এসব নিয়ম থাকা সত্ত্বেও দ্বীপটিতে নানা ধরনের ইটসিমেন্টের অবকাঠামো তৈরি হয়ে আসছিল।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলাটি পরিবেশ অধিদপ্তরই তদন্ত করবে।

মামলার বাদী ও পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিদর্শক ফাইজুল কবির বলেন, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে সরেজমিনে তদন্ত করে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়। তদন্তের সূত্র ধরেই ১২ প্রতিষ্ঠানের ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনৌ পরিবহন সেক্টরে নতুন সংকট
পরবর্তী নিবন্ধএক দশক পর নতুন কমিটির আভাস