সেন্টমার্টিন বেড়াতে গিয়ে হোটেল কক্ষে ঘুমন্ত অবস্থায় এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম বাচ্চু মিয়া। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার অন্তর্গত রুপগঞ্জ পূর্ব ডেমরা বাজার চমপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল হামিদের পুত্র। ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন দ্বীপে কর্মরত পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মাসুদুর রহমান। তিনি জানান, ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বিসিএস কম্পিউটার সিটিতে কর্মরত ৭ জনের একটি গ্রুপ সেন্টমার্টিন দ্বীপে এসে নীল দীগন্ত রিসোর্টের ছায়া বিথি কটেজের ১৭, ১৮ নম্বর রুমে উঠে। সেখানে ঘুমন্ত অবস্থায় বাচ্চু নামের একজনের মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তির সঙ্গে বেড়াতে আসা সজীব বলেন, সেন্টমার্টিন পৌঁছার পর বিকালের দিকে বুকে ব্যথা নিয়ে অসুস্থ বোধ করলে আমরা সবাই মিলে বাচ্চুকে দ্বীপের এক হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে ডাক্তার দেখানোর পর ওষুধ নিয়ে কটেজে চলে আসি। এরপর রাতে আমরা যে যার কক্ষে ভাগ হয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে সবাই জেগে উঠলেও বাচ্চু মিয়ার কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হই। বিষয়টি তৎক্ষণাৎ স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও চেয়ারম্যানকে অবগত করি। তারা হোটেলে এসে তার নিথর দেহটি উদ্ধার করে।
টেকনাফ মড়েল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, সেন্টমার্টিনের একটি হোটেল থেকে উদ্ধার করা মরদেহটি টেকনাফ নিয়ে আসার পর ময়নাতদন্ত রিপোর্টের জন্য কঙবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে।