সেই তিমির কঙ্কাল উদ্ধার পাওয়া গেল ১৬৫টি হাড়

আহমদ গিয়াস, কক্সবাজার | শুক্রবার , ২৬ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৭:৩৯ পূর্বাহ্ণ

তিন বছর আগে ভেসে আসা ‘জোড়া তিমির’ একটির কঙ্কাল অবশেষে সৈকত থেকে তোলা হয়েছে। সেই তিমির ১৭৭টি হাড়ের মধ্যে পাওয়া গেছে ১৬৫টি। বাকী হাড়গুলো পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৬ দিনের খনন কাজের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে।

২০২১ সালের ৯ ও ১০ এপ্রিল কক্সবাজারের হিমছড়ি ও দরিয়ানগর সৈকতে ২ দিনে দুটি মরা তিমি ভেসে আসে। বনকর্মীরা তিমি দুটো সৈকতেই পুঁতে ফেলেন। এরআগে বোরির বিজ্ঞানীরা সেই মরা তিমি দুটোর নমুনা সংগ্রহ করেন এবং এরপর সেই নমুনা পরীক্ষার জন্য এনআইবিতে পাঠানো হয়। রিপোর্ট অনুযায়ীতিমি দুটো ব্রাইড’স হুয়েল বা (ইধষধবহড়ঢ়ঃবৎধ বফবহর) প্রজাতির। তবে এরমধ্যে একটি পুরুষ ও অপরটি নারী লিঙ্গের। ৯ এপ্রিল ভেসে আসা তিমিটি ছিল নারী লিঙ্গের এবং ১০ এপ্রিল ভেসে আসে তিমিটি পুরুষ লিঙ্গের। তিমি দুটো জোড়া ছিল বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের। পরে তিমি দুটোর কংকাল গবেষণার উদ্দেশ্যে সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট ও চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্বাবিদ্যালয় (সিভাসু) কর্তৃপক্ষ বন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে। এরই প্রেক্ষিতে তিমি দুটোর কংকাল প্রতিষ্ঠান দুটিকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে বোরির বিজ্ঞানীরা তাদের জন্য বরাদ্দকৃত তিমিটির কংকাল উত্তোলনের কাজ শেষ করলেও সিভাসু এখনও শুরু করেনি।

বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. তৌহিদা রশীদ জানান, বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা সেই মরা তিমির কঙ্কালের সন্ধানে গত ২২ জানুয়ারি হিমছড়ি সৈকতে খনন কাজ শুরু করেন। ৬ দিনের খনন কাজে সেই তিমির ১৭৭টি হাড়ের মধ্যে ১৬৫টি হাড় উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু বাকী হাড়গুলো পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৬ দিনের খনন কাজের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছর ১৮ এপ্রিল রাতে কলাতলী সৈকতেও একটি মরা তিমি ভেসে আসে। পরে তিমিটি সেখানেই পুঁতে ফেলা হয়। এই তিমিটিও একই জাতের ছিল বলে জানান বিজ্ঞানীরা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচাল মজুতদারদের জেলে দেওয়ার নির্দেশ খাদ্যমন্ত্রীর
পরবর্তী নিবন্ধপটিয়া হাসপাতালে নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ দিলেন এমপি মোতাহের