সেই ঠিকাদার ও জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১৭ মার্চ, ২০২১ at ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ

পোর্ট কানেকটিং রোডের উন্নয়ন কাজের বিলের টাকা পেয়ে কাজ শেষ না করে পালিয়ে যাওয়া ঠিকাদার এবং এর সঙ্গে জড়িত সিটি কর্পোশেনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জনিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্র্পোরেশন ঠিকাদার সমিতি। গতকাল সংগঠনের সিনিয়র উপদেষ্টা বাহার চৌধুরী স্বাক্ষরিত সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীকে দেওয়া স্মারকলিপিতে এ দাবি জানানো হয়।
এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি অনুসন্ধান শুরু করেছে। দুদকের দৈনিক ও সাম্প্রতিক অভিযোগ সেলের পরিচালক উত্তম কুমার মণ্ডল স্বাক্ষরে দাপ্তরিক পত্র পাঠানো হয়। এতে ২০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে মতামত দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। একই দিন ইউসিবিএল কুমিল্লা শাখা থেকে আরো একটি পত্র পাঠিয়ে তৃতীয় দফায় ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে চসিকের কাছে।
গত ১৫ মার্চ দৈনিক আজাদীতে ‘টাকা পেয়ে কাজ ফেলে পালালেন ঠিকাদার ॥ ব্যাংকের অগোচরে ২৫ কোটি টাকার চেক ইস্যু’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ঠিকাদার সমিতির স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ‘দৈনিক আজাদী পত্রিকায় প্রকাশিত ঠিকাদার পালানোর কথাটি সঠিক। ঠিকাদার কার্যাদেশ পেয়েছে বলেই ব্যাংক থেকে লোন নিতে পেরেছে। এতে প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন কিভাবে ঠিকাদার বরাবর টাকা দিয়েছে সে প্রশ্নও তোলা হয়।’
এতে বলা হয়, আ.জ.ম নাছির উদ্দীন মেয়র হিসেবে নতুন হওয়ায় সিন্ডিকেটের কথা শুনে অফিস চালিয়েছেন। তাই বদনাম-দুর্নীতির ভাগিদার হয়েছেন। উনি বাইরের ঠিকাদার নিয়ে কাজ করিয়েছেন, যার কারণে তারা টাকা নিয়ে পালিয়েছেন। টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়া ঠিকাদার সিটি কর্পোরেশনের তালিকাভুক্ত নন।
এদিকে ব্যাংক থেকে তৃতীয় দফায় দেওয়া চিঠিতে স্বাক্ষর করেন ইউসিবিএল কুমিল্লা শাখার প্রধান ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইমতিয়াজ হক। চিঠিতে বলা হয়, ব্যাংকের অ্যাসাইন্টমেন্টকৃত হিসাব ব্যতীত অন্য কোনো হিসাব বরাবর চেক ইস্যু করা অ্যাসাইন্টমেন্ট শর্তের আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’।
প্রসঙ্গত, পোর্ট কানেকটিং রোডের উন্নয়ন কাজের বিলের টাকা ব্যাংকের (ইউসিবিএল, কুমিল্লা শাখা) নির্ধারিত হিসাবে জমা না দিয়ে ঠিকাদারের নামে সরাসরি ইস্যু করেছে চসিকের প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। যার পরিমাণ ২৪ কোটি ৯১ লাখ ৯৬ হাজার ৩০৭ টাকা। বিপুল অংকের এ টাকা পেয়ে মাঝপথে কাজ পেলে পালিয়েছে দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট শতবর্ষে শতপ্রদীপে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ
পরবর্তী নিবন্ধকুন্তল বড়ুয়া একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য মনোনিত