সৃজনে ও মননে স্মরণীয়

নাজমুল হাসান চৌধুরী হেলাল | বুধবার , ৩১ জুলাই, ২০২৪ at ১১:০৩ পূর্বাহ্ণ

যুগ যুগ ধরে মনীষীদের জীবন জিজ্ঞাসার উত্তরইতো আমাদের সভ্যতার বিকাশের ইতিহাস। এরাই সভ্যতার চাকাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন মহাকালের গতিধারার পথে। হাজার হাজার বছর ধরে সভ্যতার উষালগ্ন থেকে বর্তমানের একবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত যে সব প্রাতঃস্মরণীয় মনীষীদের অবদানে পৃথিবী হয়েছে ঋদ্ধ, তেমনি ড. মাহবুবুল হক স্মরণীয় বরণীয় কীর্তিমান ব্যক্তিত্ব। তার মহিমান্বিত জীবনাদর্শ আগামী প্রজন্মের জন্য অনুস্মরণীয় ও অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। নতুন প্রজন্মের জন্যে ড. মাহবুবুল হক তার রচনায় জ্ঞানের বৃহত্তর দুয়ার খুলে শ্রম ও মেধার যে প্রয়াস পেয়েছিলেন, তিনি এক নিঃসঙ্গ অভিযাত্রী। তার হাতে সাহিত্যের অনেক শাখায় বিস্তৃতি ঘটেছে। সাহিত্যের বৃহত্তর জগৎ নিয়ে তিনি ভাবতেন, সংগৃহীত তথ্য নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে তিনি সৃষ্টি করেছেন এক নতুন ধারার সাহিত্যের। এ ধারাতে তিনি এতদিনে একটি নিজস্ব বলয় সৃষ্টি করে নিতেও সক্ষম হয়েছেন। সৃজনে ও মননে তাঁর এ নিজস্ব বলয়ের পরিধি যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে তার পাঠকপ্রিয়তাও। তাঁর কথার ভাষা ছিল সুমিষ্ট, তিনি ছিলেন, সুবক্তা, ভাষাবিদ, প্রাবন্ধিক, সমালোচক, সংগঠক, কিশোর সাহিত্যে তিনি পাণ্ডিত্যের পরিচয় দিয়েছেন। এই মানুষটার মধ্যে নানা গুণ ছিল অপূর্ব সুন্দর, সকলকে করেছে আকৃষ্ট। সৃষ্টিশীল কাজে সবসময়ই মনোনিবেশ করে সৃজনে তিনি বহু গুণের সমন্বয় ঘটাতেন। তাঁর মেধা ও জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করেছেন বাঙালির চলমান সমাজ ও তার ধারাপ্রবাহকে। তাঁর গ্রন্থের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ধর্ম ও বর্ণের বিভেদ বিচারে তিনি যাননি। বাঙালি জাতির অস্তিত্বের শিকড়টি নিহিত তাঁর লেখনীতে। ভাষা ও বাঙালি জাতির আধুনিকায়নে তাঁর সক্রিয়ভাবে ক্রিয়াশীল নানা গবেষণা মানুষের মেধা মননে অবদান রাখবে নিঃসন্দেহে বলা যায়। ঠিক এই বিচার থেকেই বলা সঙ্গত, বাঙালি জাতির গর্ব ড. মাহবুবুল হক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ শত বাঙালি মনীষীদের মত তাঁর পদচারণা ও কর্মযজ্ঞের বিস্তৃতি ঘটবে, আগামী প্রজন্মের মেধা ও মননের কল্যাণে। তাঁর কর্ম ছিল ক্রিয়াশীল ও অনুপ্রেরণার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআনোয়ারায় সমুদ্র সৈকতে যাতায়াতের জন্য সড়ক নির্মাণ করা হোক
পরবর্তী নিবন্ধইতিহাসের পাতায় পাতায় লেখা থাকবে বঙ্গবন্ধুর নাম