সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা শাহাদাতের

প্রশাসন নিরপেক্ষ আচরণ করছে না

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৭ জানুয়ারি, ২০২১ at ৫:২১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে সংঘাত এবং অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে দাবি করে তা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। নির্বাচনকে ঘিরে নগরে ঘটে যাওয়া খুন এবং অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা জানিয়েছেন তিনি।
গত শুক্রবার দৈনিক আজাদীর সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর থেকে নগরে দুটি হত্যাকাণ্ড হয়েছে। হামলা, মারামারি-গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। পোস্টার ছেঁড়ারও অভিযোগ আছে। ঘটে যাওয়া বিচ্ছিন্ন ঘটনা কিসের ইঙ্গিত দিচ্ছে?
উত্তরে শাহাদাত বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশটা নষ্ট হচ্ছে। অথচ করোনায় ঝুঁকি নিয়ে আমরা প্রচারণায় অংশ নিচ্ছি। এর মাধ্যমে মানুষকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছি তারা যেন ভোটকেন্দ্রে আসেন। ভোটারদের অনুরোধ করছি, তারা যেন ভোট দিতে যায়। কিন্তু আমাদের চেষ্টাটা প্রশাসন ধরে রাখতে পারছে না। বরং মনে হচ্ছে, আমাদের তৈরি করা ক্ষেত্রটা নষ্ট করে দিচ্ছে। ভোটকেন্দ্রে মানুষ আসুক তারা হয়তো সেটা চাচ্ছে না। এটাকে এক ধরনের দুর্যোগ বলা যায়।
তিনি বলেন, প্রশাসন নিরপেক্ষ আচরণ করছে না। তাদের চিন্তাধারা সরকারপন্থী। একটা বিষয় খেয়াল করলে বোঝা যায়, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে। কিন্তু তাদের গ্রেপ্তার না করে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে। প্রশাসন যদি প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করত তাহলে এখানে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হতো না।
ড. শাহাদাত বলেন, যারা সন্ত্রাসী তাদের সবার পরিচয় স্পষ্ট। এরা কিশোর গ্যাং লিডার হিসেবেও অনেকে চিহ্নিত। এরাই এলাকায় দখলবাজ, মাদক ব্যবসা, হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। প্রশাসনও তাদের পরিচয় জানে। তাদের গ্রেপ্তার করা গেলে হয়তবা সুষ্ঠু পরিবেশ যেটা আমরা সৃষ্টি করছি সেটা বাজায় থাকত।
সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। ছাত্রলীগ-যুবলীগ অনেকের কাছেই বৈধ-অবৈধ অস্ত্র আছে, সেগুলো এখন ব্যবহার হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতেও ২৫ নং রামপুর ওয়ার্ডে পলাশ নামে এক সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে গোলাগুলি করে, যারা আমার পোস্টার লাগাচ্ছিল তাদের ভয়ভীতি দেখায় এবং পোস্টার ছিনিয়ে নিয়ে নালায় ফেলে দেয়। বিষয়টি আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি।
তিনি বলেন, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার এবং পেশীশক্তি মানুষের মধ্যে আতংক ছড়াচ্ছে এবং এটা ভোটকেন্দ্রে আসার প্রতি মানুষের যে আগ্রহ সেটাকে বাধাগ্রস্ত করছে। কাজেই অপরাধীদের গ্রেপ্তার করার এখনই আদর্শ সময়। সেটা না করে যদি উল্টো বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসায় যায় সেটা হবে ন্যক্কারজনক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাতের গাড়িতে হামলার অভিযোগ
পরবর্তী নিবন্ধসন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দেয়া উচিত নয় : রেজাউল