সুষ্ঠু নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সংস্কার অপরিহার্য বলেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, দেশে বর্তমানে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তাতে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন কল্পনাও করা যায় না। একটি দল পুরো দেশকে পাটগ্রামে পরিণত করছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় রংপুর জিলা স্কুল মাঠে রংপুর মহানগর ও জেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত বিভাগীয় জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াত আমির এ কথা বলেন। খবর বাংলানিউজের।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, কেউ যদি আওয়ামী ফ্যাসিবাদের আমলের নির্বাচনের স্বপ্ন দেখে থাকেন, আমরা মহান আল্লাহর সাহায্যে সেই স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করব। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। লালমনিরহাটের পাটগ্রামে যা ঘটেছে, সেটিই এখন সারাদেশে ঘটছে।
রংপুরের আইকনিক ব্যক্তিত্ব আবু সাঈদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আবু সাঈদের সঙ্গীরা আবার জেগে উঠুক। প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সংস্কার, জুলাই–আগস্টে ছাত্রজনতা হত্যার বিচার এবং মৌলিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে লড়াই চলবে যতক্ষণ না এসব নিশ্চিত হচ্ছে। জামায়াত আমির বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও যারা সংখ্যালঘুদের কথা বলে, তারাই তাদের সম্পদ নষ্ট করেছে। আমাদের সংগঠনের শীর্ষ পর্যায় থেকে ১১ জন নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। তারা বেঁচে থাকলে হতাশ জাতিকে আবার জাগিয়ে তুলতে পারতেন।
পতিত আওয়ামী লীগ সরকারকে ফ্যাসিবাদ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, যারা আমাদের পাকিস্তানি বলে গালি দিয়েছিল, তারাই আজ ভারতের দিকে পালিয়েছে। আমাদের কোনো নেতাই দেশ ছেড়ে পালায়নি। তারা অপশক্তিকে ভয় করেনি, ফাঁসির মঞ্চেও হাসতে হাসতে গেছেন। সমাজে বৈষম্যহীনতা গড়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা এমন একটি সমাজ চাই, যেখানে সংখ্যাগুরু–সংখ্যালঘু নয়, সবাই নাগরিক –এটাই হবে পরিচয়। ওরা রাষ্ট্রের মালিক হতে চেয়েছে, আমরা হবো জনগণের সেবক। সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও সদ্য কারামুক্ত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, ফাঁসির মঞ্চ থেকে আজ লক্ষ জনতার মঞ্চে এসেছি। মিথ্যা সাক্ষ্যের মাধ্যমে আমাকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আবু সাঈদের আত্মত্যাগেই আন্দোলন জেগে উঠেছিল এবং আমি মুক্তি পেয়েছি।