সুফিরা ভালোবাসা-সহমর্মিতা-শান্তির সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করেছেন

গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী স্মরণে সেমিনারে বক্তারা

| রবিবার , ৫ অক্টোবর, ২০২৫ at ৬:১৫ পূর্বাহ্ণ

মাইজভাণ্ডারী তরিকার প্রবর্তক গাউছুল আজম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারীএঁর জন্মদ্বিশতবার্ষিকী২০২৬ স্মারক কর্মসূচির অংশ হিসেবে দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (ডিরি) আয়োজনে শনিবার (৪ অক্টোবর) ফটিকছড়ি মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে “খলিফায়ে গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী স্মরণে মাইজভাণ্ডারী সেমিনার১” অনুষ্ঠিত হয়। মাইজভাণ্ডার গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন হযরত মওলানা শাহসুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারীর পৃৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন নায়েব সাজ্জাদানশীন ও দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (ডিরি) ম্যানেজিং ট্রাস্টি সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী।

সেমিনারে “হযরত গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারীএঁর ‘ফজিলতে রব্বানী’ প্রাপ্তির বেলায়তী ঝর্ণাধারা আল্লামা সৈয়দ আমিনুল হক ফরহাদাবাদী রচিত ‘তোহফাতুল আখইয়ার’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নোয়াখালীর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ফরহাদাবাদ দরবার শরীফের নায়েব সাজ্জাদানশীন সৈয়দ মুহাম্মদ ফখরুল আবেদীন রায়হান। মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে মানবিক সমাজ গঠনের শিক্ষা দিয়েছেন। সুফিবাদ বা তরিকতচর্চার মূল উদ্দেশ্যই হলো আত্মার পরিশুদ্ধি এবং স্রষ্টার সাথে একাত্মতা অর্জন। সেমা বা আধ্যাত্মিক সঙ্গীতের মাধ্যমে মানুষের মনের পবিত্রতা ও আলোর প্রকাশ ঘটে, যা মানুষকে স্রষ্টার নৈকট্যে পৌঁছে দেয়। নানুপুর লায়লা কবির কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেজবাউল আলম ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সেমিনারে অতিথি ও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শেখ সাদী, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোরশেদুল আলম এবং ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. নূরে আলম। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহজরত আমানত খান (রহ:) দরবারে ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহুম পালিত