আবার সাকিব আল হাসান মাঠে থেকে জেতালেন মোহামেডানকে। গতকাল ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ১৯০ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল মোহামেডান। অথচ এই অল্প পুঁজি নিয়েও ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ১০ রানে হারিয়ে দিয়েছে সাদাকালোরা। বল হাতে জাদু দেখিয়েছেন সাকিব ও ইংলিশ অলরাউন্ডার জ্যাক লিনটট। এ জয়ে মোহামেডানের রেলিগেশন লিগ খেলার শঙ্কা কাটলো। ৯ খেলায় চতুর্থ জয় আর পরিত্যক্ত ম্যাচে ১ পয়েন্টসহ ৯ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগের স্বপ্ন দেখছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। ঢাকা লেপার্ডস ও শাইনপুকুরের সাথে শেষ দুই ম্যাচ জিততে পারলে সেরা ছয় দলে জায়গা হবে সাদাকালোদের। ব্রাদার্সের সামনে ছিল ১৯১ রানের সহজ লক্ষ্য। সাকিব ৫ ওভারের প্রথম স্পেলে (৫–১–১৭–২) ব্রেক থ্রু সহ দুই উইকেট পেলেও সে ধাক্কা সামলে নিয়েছিলেন ব্রাদার্সের দুই তরুণ আনিসুল ইসলাম ইমন আর জাহিদউজ্জামান। তাদের ব্যাটে ছিল ব্রাদার্সের আশার আলো।
কিন্তু ২০ নম্বর ওভার থেকে ম্যাচের হাওয়া পাল্টে যায়। ইংলিশ জ্যাক লিনটটের ওই ওভারের চতুর্থ বলে অনসাইডে তুলে মারতে গিয়ে লং অনে ইমরুল কায়েসের দারুণ ক্যাচ হন ব্রাদার্স ওপেনার আনিসুল ইমন । করেন ৪৭ বলে ৪০ রান। মিরাজ ও সাকিবকে একটি করে এবং সবমিলিয়ে তিন ছক্কা হাঁকানো ইমনের তুলে মারা শট অন্তত ২০ গজ পেছনে দৌড়ে ধরে ফেলেন ইমরুল কায়েস। ব্রাদার্সের রান তখন ৩ উইকেটে ১০৫। এরপর আর দাড়াতে পারেনি ব্রাদার্সের ভ্যাটাররা। এক ওভারে জাহিদউজ্জামান, আরাফাত সানি জুনিয়র ও নাদিফ চৌধুরীকে ফিরিয়ে ম্যাচ মোহামেডানের দিকে ঘুরিয়ে দেন লিনটট। জাহিদুজ্জামান ফিরেন ৪৫ বলে ৪১ রান করে। এরপর মোহামেডানের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোরিং এর মুখে পড়ে আর ম্যাচ জিততে পারেনি ব্রাদার্স। থম ৫ ওভারে মাত্র ১৭ রানে ২ উইকেট পাওয়া সাকিব পরের ৫ ওভারে আর উইকেট না পেলেও ১৩ রানের বেশি খরচ করেননি। তাতেই ব্রাদার্সের হিসেব কঠিন হয়ে যায়। এরপর মিনহাজুল আবেদিন ৬৯ বলে ৩৬ রান করে ফিরলে মেষ হয়ে যায় ব্রাদার্সের শেষ সম্ভাবনা। ৪৭.১ ওভারে ১৮০ রানে গুটিয়ে যায় ব্রাদার্স।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল করতে পারেনি মোহামেডান। দলের চার টপ অর্ডার ব্যাটার ফিরেন মাত্র ৫৯ রানে। এরপর হাল ধরেন সাকিব এবং মাহমুদউল্লাহ। যোগ করেন ৫৩ রান। সাকিব ফিরেন ৩৭ রান করে। এরপর শেষ দিকে লিটট কিছুটা চেষ্টা করেছেন রান করার । তবে তিনি ফিরেছেন ২৮ রান করে। মোহামেডানের মান বাঁচিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। তিনি ৬৮ বলে ৫৮ রান করে দলের রান নিয়ে যায় ১৯০ রানে।