সুকণ্ঠ সংগীত বিদ্যার্থী পরিষদের আত্মপ্রকাশ

| শুক্রবার , ২৫ জুলাই, ২০২৫ at ৫:১২ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউটে গত বুধবার শুদ্ধ সংগীতে চিত্ত হোক বিকশিতএই অঙ্গীকারকে সামনে রেখে আত্মপ্রকাশ করে নতুন সাংস্কৃতিক সংগঠন সুকণ্ঠ সংগীত বিদ্যার্থী পরিষদ। আয়োজনে ছিল সুকণ্ঠ সংগীত বিদ্যাপীঠের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্রয়াস। অনুষ্ঠানের শুরুতে মঙ্গলপ্রদীপ জ্বালিয়ে উদ্বোধন করেন সংগীত পরিচালক সুব্রত দাশ অনুজ। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহবায়ক অরুণ নাথ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্য সচিব রাতুল বৈদ্য।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক রীতা দত্ত। অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বেতারের সংগীত প্রযোজক পাপিয়া আহমেদ। গীতকবি অধ্যাপক পঙ্কজ দেব অপু।

আলোচনা শেষে শুরু হয় সাংস্কৃতিক আয়োজন, যেখানে রবীন্দ্র, নজরুল, লালন, আধুনিক ও দেশাত্মবোধক গানের একক, দ্বৈত ও ত্রয়ী পরিবেশনায় সমৃদ্ধ হয় সন্ধ্যা। দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় মহিমা দেব, স্নেহাশ্রী চৌধুরী ও সেঁজুতি দাশএর কণ্ঠে দেশের গান। পরে গান পরিবেশন করেন উর্বশী চক্রবর্তী, নিবেচিতা সাহা, প্রণয় ধর, অনিন্দিতা ভট্টাচার্য্য, তন্দ্রা সিংহ ও নীলাদ্রি সেনগুপ্ত, প্রিয়ম বিশ্বাস ও ঋতু সাহা, প্রমা অবন্তি, দীপান্ত ভট্টাচার্য্য, সমাপ্তি বড়ুয়া, রিন্টু দাশ, রীতিশা চৌধুরী। সবগুলো গান ছিল নান্দনিক বৈচিত্র্যে ভরা।

আবৃত্তি পরিবেশন করেন লিটন কান্তি সরকার। সঙ্গীতে যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেননিখিলেশ বড়ুয়া (কিবোর্ড), রণী চৌধুরী (অক্টপ্যাড), প্রীতম আচার্য্য (তবলা), পলাশ আচার্য্য (ঢোলক), প্রাণেশ্বর ভট্টাচার্য্য (বাঁশি), তন্ময় বড়ুয়া (বেইজ গিটার) এবং বিজয় দাশ (লীড গিটার)। ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রানে’ ও দাও শৌর্য, দাও ধৈর্য, হে উদারনাথ’এই দুই মহান গান একত্রে মিলে গেয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন শিল্পীরা। রবীন্দ্রনজরুলদুই বাঙালির প্রাণের কবিকে এক আমৃত্যু বন্ধনে বাঁধা এই সম্মিলিত সংগীত যেন এক আত্মিক আহ্বান, এক সাংস্কৃতিক অভিপ্রায়। সম্মিলিত কণ্ঠে উদ্বোধনী পরিবেশনার মধ্য দিয়েই মঞ্চের পর্দা উঠে এক অনন্য সংগীত সন্ধ্যার। পরবর্তীতে পঙ্কজ দেব অপুর লেখা ও সুব্রত দাশ অনুজের সুরে তৈরি থিম সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পীরা, যা শ্রোতাদের ভেতরে ছড়িয়ে দেয় অনুষ্ঠানের মূল সুরধারা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘ভাইয়া যেহেতু নেই এটা এখানেই স্টপ’
পরবর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ৬.১৩ কোটি টাকা