বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান গতকাল রোববার বাংলাদেশ–মিয়ানমার সীমান্তের একাধিক পয়েন্ট পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি বিজিবি সদস্যদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে পালন করে উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করার নির্দেশ দেন।
সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারের প্রায় প্রদেশ, বিভাগ ও অঞ্চলে সংঘাতময় পরিস্থিতি চলছে। বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বেশিরভাগ এলাকায় দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর সাথে বিদ্রোহীদের লড়াই চলছে।
এমন অবস্থায় সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে গতকাল সকালে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার বাংলাদেশ–মিয়ানমারের মধ্যকার একাধিক সীমান্ত পয়েন্টে যান বিজিবি মহাপরিচালক। গত সপ্তাহেও তিনি সীমান্ত পরিদর্শন করেছিলেন।
গতকাল তিনি বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) উখিয়ার রাহমতেরবিল, উলুবনিয়া সীমান্ত এলাকা ও পালংখালী বিওপি এবং টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) অধীনস্থ হোয়াইক্যং বিওপি ও তৎসংলগ্ন সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু বিওপি ও ঘুমধুম সীমান্ত এলাকাও পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে বিজিবির মহাপরিচালক সীমান্তে দায়িত্বরত সকল পর্যায়ের বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি সবাইকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেন।
এ সময় মহাপরিচালকের সাথে বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার, রামু সেক্টর কমান্ডার ও সংশ্লিষ্ট ব্যাটালিয়নসমূহের অধিনায়কগণ, বিজিবির কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, শনিবার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু রেজুআমতলী বিওপির বিশেষ টহল দল মংপ্রুশি মারমা (২০) নামে মিয়ানমারের এক নাগরিককে আটক করে পুশব্যাক করে। শনিবার সকালে টেকনাফের হোয়াইক্যং উলুবনিয়া গ্রামের একটি বাড়িতে মিয়ানমারের ছোড়া গুলি এসে পড়ে। তবে কেউ হতাহত হয়নি। তুমব্রু, বাইশারি সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারের ছোড়া ভারী গোলা প্রায় সময় বাংলাদেশ অভ্যন্তরে এসে পড়ে।
বিডিনিউজ জানায়, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, সীমান্তের ওপারে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে সকাল–সন্ধ্যায় গুলির শব্দ বেশি পাওয়া যায়।
এ অবস্থায় সতর্ক থাকার কথা জানিয়ে টেকনাফ–২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, রাখাইনের সংঘাতের কারণে নতুন করে যাতে কোনো অনুপ্রবেশ না ঘটে, তা তারা দেখছেন।