চন্দনাইশে সীমানা বিরোধকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মারামারিতে নারীসহ কমপক্ষে ৭ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ৪ জন বর্তমানে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। গত শনিবার বিকেলে উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের বেপারীপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বেপারীপাড়ায় সীমানা বিরোধ নিয়ে কুসুম কান্তি বড়ুয়া ও আশীষ কান্তি বড়ুয়া পাভেলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ ব্যাপারে আদালতে মামলাও চলমান রয়েছে। শনিবার বিকেলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে পুনরায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় নারীসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৭ জন আহত হয়। আহতরা হলেন- কমল কান্তি বড়ুয়ার পুত্র কুসুম কান্তি বড়ুয়া (৬৮), তার স্ত্রী বিভু রাণী বড়ুয়া (৪০), পুত্র নিশান বড়ুয়া (২১), মেয়ে নিপা বড়ুয়া (২৫), সাতবাড়িয়া মাস্টার বাড়ির মৃত আবুল খায়েরের পুত্র জহির উদ্দীন হিরু (৪৩), সাতবাড়িয়া হাজিরপাড়ার মনির আহমদের পুত্র মোহাম্মদ আমিন (২৫), মোজাহেরপাড়ার আবদুল করিম মেম্বারের পুত্র মোহাম্মদ শাহেদ (৩২)। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে চন্দনাইশ হাসপাতালে নেয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের মধ্যে কুসুম কান্তি বড়ুয়া, বিভু রানী বড়ুয়া, জহির উদ্দীন হিরু ও মোহাম্মদ আমিনকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। চন্দনাইশ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দীন সরকার বলেন, সাতবাড়িয়া বেপারীপাড়ায় সীমানা বিরোধ নিয়ে ২ পক্ষের মধ্যে মারামারি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ব্যাপারে কোনো পক্ষ থেকে অভিযোগ দেয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ওসি।