সীতাকুণ্ড মন্দির সড়ক থেকে চন্দ্রনাথ মন্দিরের পাদদেশ পর্যন্ত দূরত্ব প্রায় তিন কিলোমিটার। এর মধ্যে বিপজ্জনক পথ পাড়ি দিয়ে ১২০০ ফুট উচু পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত চন্দ্রনাথ মন্দিরে উঠতে হয় ভক্তদের। ঝুঁকিপূর্ণ এ পথ পাড়ি দিতে গিয়ে ও দর্শনার্থীদের ভিড়ের চাপে গত দুই দিনে অসুস্থ হয়েছেন প্রায় দেড় হাজার তীর্থযাত্রী, এদের মধ্যে মারা গেছেন ২ জন।
জানা যায়, তিনদিন ব্যাপী শিব চতুর্দশী মেলায় ৪০টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ২০ ছিনতাইকারীকে আটক করে ২৮টি মোবাইল উদ্ধার করে। ভুক্তভোগী তীর্থযাত্রীরা জানান, ছিনতাইকারীরা পাহাড়ি রাস্তার পাশে থাকা জঙ্গলের ভেতর থেকে বেরিয়ে মুহূর্তের মধ্যে জিনিসপত্র ছিনতাই করে পালিয়ে যায়।
সীতাকুণ্ড মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোজ কুমার নাথ জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তিন দিনব্যাপী শিব চতুর্দশী মেলার তিথি শেষ হয়েছে। তবে মেলার আনুষ্ঠানিকতা চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। শিব চতুর্দশী তিথির পর আমাবস্যা শুরু হলে আগত তীর্থযাত্রীরা পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে ব্যাসকুণ্ডে পূণ্য স্নান শেষে তর্পণ করবেন। এরপর তারা পিতৃপুরুষদের উদ্ধারে গয়াকুন্ডে পিন্ডদান করবেন। এবারের মেলায় গত বছরের তুলনায় তীর্থযাত্রী সমাগম কম হয়েছে বলে জানান তিনি।
তীর্থ পরিদর্শনকালে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে আসা গৃহবধূ রানী বালা জানান, স্বজনদের নিয়ে ২২ জনের একটি দল তীর্থে এসেছেন। ভিড় থাকলেও সবাই পূণ্যস্নান ও পূজা–অর্চনা করেছেন।