সীতাকুণ্ডে সহস্রধারা ঝরনা দেখে ফেরার পথে মৎস্য প্রজেক্টের লেকে সাঁতার কাটতে ঝাঁপ দিয়ে সোহানুর রহমান (২৬) নামে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের ছোট দারোগারহাট সহস্রধারা ঝরনা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সোহানুর রহমান নড়াইল জেলার লোহাগাড়া উপজেলার লক্ষ্মীপাশা গ্রামের মুন্সি আবুল হাসেমের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সহস্রধারা ঝরনা ও প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজেক্ট দেখতে প্রতিদিনের মতো সোমবারও বেশ কিছু পর্যটক আসেন। তাদের একটি দল সকালে নৌকাযোগে মৎস্য প্রজেক্টের মধ্য দিয়ে সহস্রধারা ঝরনা দেখতে যায়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে একটি নৌকায় সোহানুর রহমান ও তার দুই বন্ধু সহস্রধারা ঝরনায় গোসল করে ফেরার পথে নৌকা থেকে এক বন্ধু রিয়াদ ঝাঁপ দিয়ে লেকে নামেন। এরপর সোহানুর রহমানও লাফ দিয়ে লেকে নামেন। এসময় অপর বন্ধু সাঁতার কেটে তীরে উঠতে পারলেও সোহানুর রহমান কিছুদূর এগিয়ে পানিতে তলিয়ে যান। খবর পেয়ে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সেখানে উপস্থিত হন সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল, থানা পুলিশ ও এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান রেহান উদ্দিন রেহান।
এ বিষয়ে সোহানুরের বন্ধু রিয়াদ জানান, ঢাকার নিকুঞ্জ–২ এলাকায় অবস্থিত জেনেঙ নামক একটি প্রতিষ্ঠানে দুইজনই চাকরি করি। গতকাল সকালে সীতাকুণ্ডে ভ্রমণে আসি। সকালে আমরা ছোট দারোগারহাটে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজেক্ট পেরিয়ে সহস্রধারা ঝরনা দেখতে যায়। আসার পথে লেকে সাঁতার কাটার জন্য দুইজনেই ঝাঁপ দিই কিন্তু আমি তীরে আসলেও আমার বন্ধু সোহানুর তলিয়ে যায়।
সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার নুরুল আলম দুলাল বলেন, এক পর্যটক নিখোঁজের বিষয়টি জানতে পেরে আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে ডুবুরি আনা হয়। পর্যটকটি যেখানে ডুবে যান তার কিছু দূরত্বে আমাদের টার্গেট অনুযায়ী প্রথম ডুবেই ডুবুরিরা নিখোঁজ পর্যটকের মৃতদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধার পরবর্তীতে মৃতদেহ সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সীতাকুণ্ড থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ বলেন, ছোট নৌকায় ওই ঝরনায় যাতায়াত এমনিতেও ঝুঁকিপূর্ণ। আমি বারবার সেখানকার কর্তৃপক্ষকে এভাবে পর্যটক না নিতে অনুরোধ করেছিলাম। গতকাল আবার একটি দুর্ঘটনা ঘটল। তিনি আরো বলেন, নিহতের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে লাশ হস্তান্তর করা হবে।