ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে প্রায় ১৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন ছিল সীতাকুণ্ডের অনেক এলাকা। দুর্ভোগে পড়েছেন উপজেলার অন্তত ১০ হাজার গ্রাহক। গত শুক্রবার দুপুর থেকে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঝড়ো হাওয়ায় গাছপালা ভেঙে বিদ্যুৎতের লাইনে পড়ার কারণে আর সংযোগ দিতে পারেনি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ।
বাড়বকুণ্ড কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী রিয়াজুল হক বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে বাড়বকুণ্ড বিদ্যুৎ বিতরণ কার্যালয় থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়। কার্যালয়ের অধীনে ১০টি ফিডারে মোট ৪৩ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। ১৬ ঘণ্টা পর শনিবার (গতকাল) সকালে ছয়টি ফিডার চালু করতে সক্ষম হয়েছেন কর্মীরা। এখনো বিদ্যুৎবিহীন তিনটি ফিডারের অধীনে অন্তত ১০ হাজার গ্রাহক। শনিবার বিকালের মধ্যে এ তিনটি ফিডার চালু করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন বলে জানান তিনি।
ফৌজদারহাট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ কাওসার মাসুম বলেন, তার এলাকা দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল না। মাঝেমধ্যে যে ফিডারে সমস্যা দেখা দিয়েছে, সেটি কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করেছেন আবার পুনরায় চালু করে দিয়েছেন।
এদিকে বোয়ালখালী প্রতিনিধি জানান, উপজেলার পশ্চিম গোমদন্ডী চরখিজিরপুর ইউনিয়ন তিনদিন ধরে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। গত বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা থেকে গতকাল রাত ৮টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি বলে জানা যায়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন চরখিজিরপুর ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ।
ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মো. মাসুদ আলম বলেন, গত তিনদিন ধরে কোনো বিদ্যুৎ নেই আমাদের ইউনিয়নে। ফ্রিজে রাখা সব জিনিস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ছাত্র ছাত্রীদের পড়ালেখায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুতের অবহেলার কারণে তিনদিন ধরে বিদ্যুৎ নেই আমাদের ইউনিয়নে। বিদ্যুৎ অফিসের নম্বরে ফোন করে জানালেও কোনো সুরাহা হয়নি তিনদিন ধরে।
একই ইউনিয়নের মিন্টু বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাব তেমন একটা আমাদের এলাকায় পড়েনি। তারপরেও তিনদিন ধরে অন্ধকারে পড়ে আছি।
চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি–১ এর বোয়ালখালীর ডেপুটি জোনাল ম্যানেজার স.ম মিজানুর রহমান বলেন, শুধু চরখিজিরপুর ইউনিয়ন নয়, বরং আরো কয়েকটি গ্রামে এখনো বিদ্যুৎ চালু হয় নাই। আশা করি রাতের ভিতর সব জায়গায় চালু হয়ে যাবে।












