সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর চৌধুরীঘাটা এলাকায় গড়ে উঠা ইউটার্নে আবারও সড়ক দুর্ঘটনায় এক যুবক আহত হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দুর্ঘটনায় আহত যুবকের নাম মোঃ আবু বক্কর।
এদিকে গত বৃহস্পতিবারও ঐ ইউটার্নে মালবাহী লরি চাপায় এক নারী নিহত হন। এদিকে বারবার একইস্থানে দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। আজ শনিবার দুর্ঘটনার পর তারা গ্রামে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ইউটার্নটি বন্ধের দাবি জানান।
চৌধুরীঘাটা এলাকার বাসিন্দা মোঃ নেজাম উদ্দিন গাউছ জানান, চৌধুরীঘাটা এলাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের যানবাহন চলাচলের জন্য অবৈধভাবে মহাসড়কে একটি ইউটার্ন তৈরি করা হয়েছে। এই ইউটার্নে প্রতিষ্ঠানটির যানবাহন চলাচলের সময় বারবার দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। সম্প্রতি এখানে দুটি দুর্ঘটনায় দুই নারী পূরুষ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
এর মধ্যে গত ১৪ নভেম্বর দুপুর আড়াইটায় এখানে লরি চাপায় নিহত হন নাজমা আক্তার (৩৫) নামে এক নারী। সে ঘটনায় স্বামী হারা নাজমার দুই সন্তান অসহায় হয়ে পড়ে। এর জের কাটতে না কাটতেই শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় গাড়ি চাপা পড়ে আহত হন আবু বক্কর (২৮) নাম আরেক যুবক।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী খুবই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। ফলে এলাকার মানুষ সড়কের পাশে দাড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ইউটার্নটি বন্ধের দাবি জানান।
এতে উপস্থিত ছিলেন মোঃ সাহাব উদ্দিন, মোঃ জাবেদ, মোঃ টিটু, মোঃ শাহীন, মোঃ বাবু, মোঃ মঞ্জু, মোঃ ইস্কান্দার মিয়া, মোঃ আলাউদ্দিন, মোঃ রাকিব, মোঃ জোনায়েদ প্রমুখ।
তারা দাবি করেন এই এলাকায় একটি মাদ্রাসা ও একটি স্কুল থাকায় ইউটার্নে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন বারবার। তাই মানবিক দৃষ্টিতে এটি বন্ধ করা জরুরি। তা না হলে এখানে পূর্বের মতো ধারাবাহিকভাবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তেই থাকবে।
এদিকে বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি খোকন চন্দ্র ঘোষ দুটি দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, শনিবার সকালেও সেখানে এক যুবক আহত হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। কিন্তু দুর্ঘটনার জন্য দায়ী গাড়িটি আটক করতে না পারায় আমরা ব্যবস্থা নিতে পারিনি।