সীতাকুণ্ডের আর আর টেক্সটাইল মিলসসহ চালু হচ্ছে ২ বস্ত্রকল

সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব

| মঙ্গলবার , ২৮ মে, ২০২৪ at ৬:৪৭ পূর্বাহ্ণ

বন্ধ থাকা রাষ্ট্র মালিকানাধীন দুটি বস্ত্রকলকে সরকারিবেসরকারি অংশীদারিত্বে উৎপাদনে ফেরার প্রস্তাবে সায় দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খান।

বৈঠক শেষে তিনি বলেন, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবস্থিত বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলসের (বিটিএমসি) মালিকানাধীন আর আর টেক্সটাইল মিলস দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে। ২০ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এই মিলে উৎপাদন শুরু করতে বেসরকারি প্রাণ কনসোর্টিয়াম আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ৩০ বছর মেয়াদি পিপিপি চুক্তি করতে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। তিনি বলেন, একইভাবে রাজশাহীতে ২৬ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত রাজশাহী টেক্সটাইল মিল চালু করতে আগ্রহ দেখিয়েছে চড়কা টেঙটাইল মিলস। কোম্পানিটির সঙ্গে ৩০ বছর মেয়াদি পিপিপি চুক্তি করতে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। খবর বিডিনিউজের।

সচিব মাহমুদুল হোসাইন বলেন, সরকার ২০২৫২০২৬ সালের মধ্যে সব বিদ্যুৎ গ্রাহককে স্মার্ট প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনার পরিকল্পনা নিয়েছে। সেই লক্ষ্যে ৪০ হাজার করে মোট ৮০ হাজার মিটার কেনা হবে। বাংলাদেশ পাওয়ার ইক্যুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির (বিপিইএমসি) কাছ থেকে এবং বাংলাদেশ স্মার্ট ইলেক্ট্রিক্যাল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসইসিও) কাছ থেকে এসব মিটার কেনা হবে বলে জানান তিনি। বাংলাদেশ সরকারের ৫১ শতাংশ এবং চীনা কোম্পানির ৪৯ শতাংশ শেয়ারের ভিত্তিতে গঠন করা এসব কোম্পানি আগামী তিন বছরের টার্ন কি চুক্তির ভিত্তিতে মিটারগুলো সরবরাহ ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে। বৈঠকে এ কেনাকাটায় সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণের বিষয়ে সায় দেওয়া হয়। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর ব্রিফ করেন মাহমুদুল হোসাইন খান। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর ব্রিফ করেন মাহমুদুল হোসাইন খান।

এছাড়া বিদ্যুৎ বিভাগের আরেকটি প্রস্তাবে ছিল বিবিয়ানা দক্ষিণ ৪০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জন্য আগামী ছয় বছর যন্ত্রাংশ কেনা ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে জার্মানির প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে। সচিব মাহমুদুল বলেন, সিমেন্স এটা প্রতিষ্ঠা করেছিল। তাদের সাথে চুক্তির মেয়াদ ২৭ জানুয়ারি ২০২৩ মেয়াদ শেষ হয়েছিল। বাইরের একটা নতুন প্রতিষ্ঠান এসে কাজ শুরু করতে সময় লাগবে। সে কারণে সিমেন্সকেই ডিপিএম পদ্ধতিতে নেওয়া হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅন্ধকারে রাউজানের মানুষ
পরবর্তী নিবন্ধকক্সবাজারে জলাবদ্ধতা,অচল জনজীবন