বরিশাল এবং রংপুরের পর তৃতীয় দল হিসেবে প্লে অফ নিশ্চিত করেছে চিটাগাং কিংস। গতকাল সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৯৬ রানে হারিয়ে তৃতীয় দল হিসেবে প্লে অফ নিশ্চিত করে চিটাগাং কিংস। ব্যাটারদের দারুণ ব্যাটিং এর পর বোলারদের দুর্দান্ত বোলিং বিশেষ করে দুই পেসার খালেদ আহমেদ এবং শরীফুল ইসলামের আগুন ঝরানো বোলিং এ সহজ জয় পাইয়ে দেয় চিটাগাংকে। ১১ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানে চিটাগাং । আর সিলেট বিপিএল শেষ করল পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থেকে। তাদের পয়েণ্ট ১২ ম্যাচে ৪।
টসে হেরে ব্যাট করতে নামা চিটাগাং কিংস প্রথম ওভারেই পারভেজ হোসেন ইমনকে হারায়। ১৭ রানে যেতে হারায় গ্রাহাম ক্লার্ককে। তৃতীয় উইকেটে খাজা নাফি এবং অধিনায়ক মিঠুন মিলে যোগ করেন ৯৪ রান। দুজনই তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। ৩০ বলে ৫২ রান করা নাফিকে ফিরিয়ে এজুটি ভাঙ্গেন সিনওয়ারি। এই আফগানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরেন হায়দার আলি। হাফ সেঞ্চুরি পুরনের পর বেশিদূর এগুতে পারেননি মিঠুনও। তিনি ফিরেছেন ৫২ রান করে। তার ৩৮ বলের ইনিংসে ২টি চার এবং ৩টি ছক্কার মার ছিল। শেষদিকে শামীম হোসেনের ২৩ বলে ৩৮ আর খালেদ আহমেদের ১৩ বলে ২৫ রানের সুবাদে ১৯৬ রান সংগ্রহ করে চিটাগাং। সিলেটের পক্ষে ৩টি উইকেট নিয়েছেন তানজিম সাকিব। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন রুয়েল মিয়া এবং সিনওয়ারি।
জবাবে ব্যাট করতে নামা সিলেট স্ট্রাইকার্স দ্বিতীয় ওভারেই হারায় আবরারকে। দ্বিতীয় উইকেটে জাকির এবং রনি তালুকদার মিলে ৩৫ রান যোগ করেন। ১২ বলে ১৯ রান করে ফিরেন জাকির। পরের ওভারে রনি তালুকদার ফিরেন ১২ বলে ১৭ রান করে। এরপর অ্যারন জোন্স, জাকের আলি এবং নাহিদুল ইসলাম কেউই দলকে টানতে পারেনি। জাকের ১৭, নাহিদুল ১৪ রান করলেও জোন্স করেছেন মাত্র ৩ রান। তানজিম সাকিবকে রানের খাতাও খুলতে দেননি শরীফুল ইসলাম। ইনিংসের ১৪ তম ওভারের পরপর দুই বলে আরিফুল হক এবং রুয়েল মিয়াকে ফিরিয়ে চিটাগাং এর জয়কে সহজ করে দেন খালেদ। ২ রান করা সুমন খান রান আউট হয়ে গেলে ১০০ রানে অল আউট হয় সিলেট। চিটাগাং এর পক্ষে ৪টি করে উইকেট নিয়েছেন খালেদ আহমেদ এবং শরীফুল ইসলাম। যার জন্য খালেদ ৩১ রান খরচ করলেও শরীফুল দিয়েছেন মাত্র ৫ রান।