সিরি অ্যাপটি যখন ২০১১ সালে প্রথম আসে, তখন ডিফল্ট হিসেবে নারীকণ্ঠ বাছাই করেছিল অ্যাপল। এক দশক পর সেই অবস্থান থেকে সরে আসছে আইফোন নির্মাতা মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি। অ্যাপল জানিয়েছে, এখন থেকে মোবাইল ডিভাইসে ‘ভার্চুয়াল সহকারী’ সেট আপ করার সময় ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন ধরনের ভয়েস থেকে বেছে নেবেন। অ্যাপল বর্তমানে ব্যবহারকারীদেরকে পুরুষ এবং নারী কণ্ঠের পাশাপাশি আমেরিকান, ব্রিটিশ, ভারতীয় এবং আইরিশ সহ ছয়টি বিভিন্ন উচ্চারণ থেকে বেছে নিতে দেয়। আর, মার্কিন ডিভাইসের জন্য একটি নারী কণ্ঠকে ডিফল্ট করে দেয়, ব্যবহারকারী চাইলে সেটি বদলে নিতে পারেন। কিছু দেশে অবশ্য সিরি’র ডিফল্ট হিসেবে পুরুষ কণ্ঠ থাকে, যেমন যুক্তরাজ্যে। অ্যাপল সিরিতে আরও দুটি নতুন কণ্ঠ যোগ করা হবে বলে জানা গেছে। খবর বিডিনিউজের।
এক বিবৃতিতে অ্যাপল বলেছে, ‘ইংরেজি ভাষাভাষিদের জন্য দুটি নতুন সিরি ভয়েস এবং সিরি ব্যবহারকারীদের ডিভাইস সেট আপ করার সময় পছন্দমতো কণ্ঠ নির্বাচন করার বিকল্প আনতে পেরে আমরা রোমাঞ্চিত। বৈচিত্র্যময় ও অন্তর্ভূক্তিমূলক সংস্কৃতি এবং যেসব পণ্য ও সেবা আমরা তৈরি করি তা যেন সব ধরনের ব্যবহারকারীর প্রতিনিধিত্ব করে তার প্রতি অ্যাপলের দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতির ধারাবাহিকতা এটি।’
সিরির এই পরিবর্তন ইতোমধ্যে অ্যাপলের আইওএস ১৪.৫ বেটায় পৌঁছে গেছে এবং বছরের শেষ নাগাদ যখন আরও বিস্তৃত আকারে সফটওয়্যার আপডেট আসবে তখন নতুন অ্যাপল ডিভাইস সেট আপের সময় এটি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সিরি, অ্যামাজনের অ্যালেক্সা এবং গুগল অ্যাসিস্টেন্টে ভয়েস সহকারীদের ডিফল্ট হিসেবে নারী কণ্ঠ নিয়ে দীর্ঘ দিনের বিতর্ক রয়েছে। ২০১৯ সালে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছিল যে ভয়েস অ্যাসিস্টেন্টে ডিফল্ট নারী কণ্ঠ এই মতবাদকেই সমর্থন করে যে নারীরা হবে আদেশ প্রার্থী, আদেশ তামিল করেই সন্তুষ্ট এবং একটি বোতাম স্পর্শ করে বা ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমে তাদের আদেশ করা যায়। এখনও সর্বাধিক ডিভাইসেই ভার্চুয়াল সহকারীরা নারী কণ্ঠেই কথা বলে যদিও ব্যবহারকারীরা চাইলে সেটি বদলে নিতে পারেন।