সিরিজ বাঁচানোর মিশন আজ টাইগারদের

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শনিবার , ৩০ মার্চ, ২০২৪ at ৫:৪৫ পূর্বাহ্ণ

সিলেটে বিশাল পরাজয়ের ক্ষত এখনো শুকায়নি বাংলাদেশ দলের। আর সে ক্ষতকে সঙ্গী করে আজ কঠিন এক মিশনে নামছে বাংলাদেশ দল। যেখানে সিরিজ হারের লজ্জা এড়াতে হলে চট্টগ্রাম টেস্টে জয়ের কোনো বিকল্প নেই স্বাগতিকদের। জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ শুরু হচ্ছে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। যেখানে প্রথম টেস্টে জিতে এগিয়ে রয়েছে সফরকারী শ্রীলংকা। তাই আজ মানসিক দিক থেকেও এগিয়ে থেকে মাঠে নামবে লংকানরা। কারণ এই টেস্টে ড্র করলেও সিরিজ জিতবে তারা। এরই মধ্যে টিটোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে লংকানরা। যদিও ওয়ানডে সিরিজ জিতে তার শোধ নিয়েছে টাইগাররা। এখনকার পরীক্ষাটা তাই একটু বেশি কঠিন। অবশ্য দীর্ঘ দিন পর বড় ফরম্যাটে ফেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানে উজ্জীবিত বাংলাদেশ সমতায় সিরিজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামবে। ম্যাচটি শুরু হবে সকাল ১০টায়।

প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসেই চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে স্বাগতিক ব্যাটাররা। দুই ইনিংসেই দুইশর নীচে অলআউট হয় শান্তর দল। বেশিরভাগ ব্যাটারই বাজে শট খেলে উইকেট উপহার দিয়েছে। তাই টাইগার ব্যাটারদের রানে ফেরাটাই বড় কাজ। তবে দলের শক্তি বাড়াতে নেওয়া হয়েছে সাকিবকে। চোখের সমস্যা থেকে সেরে উঠে পুরোপুরি ফিট হওয়ায় মাঠে নামতে প্রস্তুত সাকিব। প্রায় এক বছর পর সাদা পোশাকে দেখা যাবে তাকে। গত বছর ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের পর থেকে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে কোনো ম্যাচই খেলেননি সাকিব। দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকার পর ফেরাটা তার জন্য অবশ্য কিছুটা চ্যালেঞ্জিংও হতে পারে। যদিও বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর মতে সাকিবের মতো চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার সব চ্যালেঞ্জকে অতিক্রম করে কিভাবে পারফর্ম করতে হয় সেটি বেশ ভালোই জানেন।

সাকিব যোগ দেওয়ায় দলের শক্তি বেড়েছে দু বিভাগেই। আর সেটাকে কাজে লাগাতে চায় টাইগাররা। তাছাড়া শ্রীলংকার বিপক্ষে বেশ সফল সাকিব। সে প্রেরণা থেকে এই টেস্টে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী স্বাগতিক শিবির। যেখানে তাদের ট্রাম্প কার্ড হতে পারেন সাকিব। তাছাড়া দলের টপ অর্ডারের ব্যাটিংকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে স্বাগতিকরা। লিটন, জাকির, শান্ত, মোমিনুল, জয়দের ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের সাফল্য। বল হাতে পেসারদের ওপর আস্থা রয়েছে যথারীতি স্বাগতিক শিবিরের। তবে চট্টগ্রামের মাঠে কার্যকর হতে পারেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তার সাথে সাকিব এবং মিরাজ রয়েছেন আক্রমণের সামনের ভাগে। পরিসংখ্যানের দিক থেকে বেশ এগিয়ে লংকানরা। এ পর্যন্ত দু দলের লড়াইয়ে ১৯টি ম্যাচে পরাজিত এবং পাঁচটিতে ড্র করেছে বাংলাদেশ। ঘরের মাটিতে ১১বার মুখোমুখি হয়েছে দু’দল। এরমধ্যে শ্রীলংকার জয় ৮বার এবং তিনটি ম্যাচ ড্র হয়। ঘরের মাঠে শ্রীলংকার বিপক্ষে এখনও জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। তাই এই ম্যাচে জয়টা সবচাইতে বেশি প্রয়োজন বাংলাদেশের জন্য। যদিও ২০২২ সালে ভারতের কাছে ২০ ব্যবধানে হারের পর অবশ্য ২০২৩ সালে কোনো টেস্ট সিরিজ হারেনি বাংলাদেশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআনোয়ারা কর্ণফুলীতে কোনো দ্বৈত শাসন চলবে না : এমপি জাবেদ
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম থেকে ৬০ রুটে প্রতিদিন চলবে ৬শ গাড়ি