সিপিডিএল পরিবার ১৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল বুধবার মাসব্যাপী আনুষ্ঠানিকতা শুরু করে। সিপিডিএল কর্পোরেট অফিস প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে পরিবারের সকল সদস্য ও প্রেসিডেন্ট, চেয়ারম্যান এবং অভিভাবক হিসেবে একুশে পদকপ্রাপ্ত দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক এবং পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেকের অংশগ্রহণে লোগো উন্মোচনের মাধ্যমে শুরু হয় কার্যক্রম। এম এ মালেক সিপিডিএল-এর পরিবেশ ও প্রতিবেশ উন্নয়নে জনকল্যাণমুখী উদ্যোগসমূহের ভূয়সী প্রশংসা করেন। প্রতিষ্ঠার শুরু হতে অদ্যাবধি সিপিডিএল পরিবারের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক এম এ মালেক প্রত্যাশা করেন ভবিষ্যতেও এই কর্মধারা অব্যাহত রেখে আরও দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করে যাবে। ওয়াহিদ মালেক প্রত্যাশা করেন ভালো কাজের মাধ্যমে সিপিডিএল মানুষের জীবনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
সুদীর্ঘ দেড় যুগ ধরে গুণগতমান ও কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদানে সিপিডিএল ছিল দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আবাসন খাতের সবচেয়ে বৃহৎ প্রতিবন্ধকতা হলো ‘পরীক্ষিত মান এবং সঠিক সময়ে হস্তান্তর’। যা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিল সিপিডিএল। সিপিডিএল এর অনবদ্য মান, অদ্বিতীয় ব্যবস্থাপনা, কঠোর নিয়মানুবর্তিতা প্রতিটি প্রকল্পের সঠিক সময়ে হস্তান্তর নিশ্চিত করে এসেছে। ফলে সিপিডিএল-এর প্রতিটি প্রকল্পের গ্রাহকপ্রিয়তা ঈর্ষণীয়।
পথচলার শুরু হতে সিপিডিএল-এর নিরলস শ্রম ও ঐকান্তিক প্রয়াস, গ্রাহকের নিরাপদ নিবাস গড়ায় একাগ্র। প্রতিটি প্রকল্প সযত্ন শ্রমে-ঘামে গড়েছে, একে একে সাজিয়েছে শত শত স্বপ্নময় আবাস। গ্রাহকের প্রতি সেবা ও আন্তরিকতায় সিপিডিএল বদ্ধপরিকর। আজও প্রথম হস্তান্তর করা প্রকল্প থেকে শুরু করে প্রতিটি প্রকল্পে প্রয়োজনীয় গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করছে। প্রবর্তন করেছে মোবাইল এপ্লিকেশন ভিত্তিক গ্রাহক সেবা।
শুধু প্রকল্প বা গ্রাহকসেবার সিপিডিএল সীমাবদ্ধ থাকেনি। চট্টগ্রামকে নান্দনিক করায় উদ্যোগী হয়ে, জনহিতে ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক চত্বর সাজিয়েছে দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা দিয়ে, দক্ষিণ খুলশীতে সড়ক উন্নয়ন, জামালখান রোডে সবুজায়ন, সিরাজউদ্দৌলা রোডে সবুজায়ন, সবুজ ঐতিহ্যে অনন্য দেবপাহাড় প্রকল্পসহ আরও অনেক জনহিতকর কাজ।
১৮ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে সিপিডিএল-এর প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী ইফতেখার হোসেন বলেন, দীর্ঘ আঠারো বছর ধরে সবার আন্তরিক সহযোগিতা, সমর্থন ও আস্থা আমাদের শক্তি জুগিয়ে যাচ্ছে, অবিরাম প্রেরণা দিয়ে যাচ্ছে অধিকতর ভালো কিছু করার, সেই প্রেরণার শক্তিতেই এগিয়ে চলেছে সিপিডিএল পরিবার। সুদীর্ঘ সময় ধরে পাশে থাকার জন্য তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।