সিনেমার শুটিংয়ে থানচি গিয়ে গোলাগুলির মধ্যে

| শনিবার , ৬ এপ্রিল, ২০২৪ at ১০:১২ পূর্বাহ্ণ

বান্দরবানের থানচিতে হঠাৎ করে গোলাগুলি শুরু হলে প্রাণে বাঁচতে অনেকেই বাজারের দিকে ছুটে আসছিলেন। ভয়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছিলেন সাঙ্গু নদীর কাছে একটি পাহাড়ের কোলে। তাদের মধ্যে ছিল ‘নাদান’ সিনেমার শ্যামল মাওলা, এরফান মৃধা শিবলু, সাইফ খানসহ একঝাঁক শিল্পী। এটি কোনো সিনেমা দৃশ্যের শুটিং ছিল না। বান্দরবানের থানচিতে গত বুধবার দুপুরে সত্যি সত্যি এ ধরনের একটি পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে ‘নাদান’ সিনেমার শুটিং টিমের প্রায় ত্রিশজন সদস্য। পরে নিরাপদে ঢাকায় ফিরে ভয়াবহ ওই পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন সিনেমার অভিনেতা শ্যামল মাওলা এবং গায়ক এরফান মৃধা শিবলু।

থানচির রেমাক্রিতে প্রায় ১৫ দিন শুটিংয়ের পর কিছুদিন আগে থানচি সদরে আসে ‘নাদান’ টিম। থানচি বাজারঘাটে তিন দিনের শুটিং করে তারা। তৃতীয় দিন গত বুধবার শুটিংয়ের সময় ভয়াবহ পরিস্থির মধ্যে পড়েন তারা। খবর বিডিনিউজের।

গ্লিটজকে শ্যামল বলেন, সেখানে খুবই ভয়াবহ অবস্থা ছিল। হোটেলের সামনেই কমপক্ষে ৪০ থেকে ৫০ রাউন্ড গুলি এসে লাগে। চোখের সামনে দিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে যাচ্ছিল। সেই পরিস্থতি বলে বোঝানো সম্ভব না। এখনো ট্রমার মধ্যে আছি। তিনি বলেন, গোলাগুলির শব্দে মানুষ ভয়ে থানচি বাজারের দিকে ছুটে যাচ্ছিল। আমরা এসব দেখে সাঙ্গু নদীর কাছে একটি পাহাড়ে আশ্রয় নিই। পরে আইনশৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় হোটেলে ফিরে আসি। সেদিনই থানচি থেকে বান্দরবান শহরে ফিরে আসি। সেখানে রাতে থেকে ভোরে আসি ঢাকায়।

বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে একদল সশস্ত্র লোক তিনটি গাড়ি নিয়ে এসে থানচি কৃষি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংক শাখায় হামলা চালিয়ে টাকা লুট করে। কৃষি ব্যাংক থেকে দুই লাখ ৮ হাজার টাকা এবং সোনালী ব্যাংক থেকে ১৫ লাখ টাকা লুট করে নেয় তারা। ফিরে যাওয়ার সময় তারা গুলি চালিয়ে আতঙ্ক তৈরি করে। এর আগে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে শতাধিক সশস্ত্র ব্যক্তি রুমা উপজেলা সদরে সোনালী ব্যাংকের শাখায় একযোগে হামলা চালায়।

হাওয়া সিনেমার জনপ্রিয় গান ‘সাদা সাদা কালা কালা’র গায়ক এরফান মৃধা শিবলুও তার থানচির অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন গ্লিটজের কাছে। ‘দেখি হঠাৎ করে গুলাগুলি শুরু হল। কিছুই বুঝতে পারছিলাম না, কারা করছে, কোন জায়গা থেকে গুলি আসছে। আমরা প্রায় ৩০ জনের একটি টিম সেখানে ছিলাম। শুটিং উপরে হচ্ছিল যেখানে শ্যামল মাওলারা শুট করছিল। আমাদের যাদের কাজ ছিল না তারা নিচে বসে ছিলাম। প্রোডাকশনের লোকজন সবাই ছিলাম। তারপর সবাই চুপচাপ একটি জায়গায় গিয়ে বসে ঘণ্টা দেড় সময় পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শুটিং প্যাকআপ করে হোটেলে চলে আসি। বিকাল ৫টা নাগাদ বান্দরবান শহরে চলে আসি।

ফরহাদ চৌধুরী পরিচালিত ‘নাদান’ সিনেমার শুটিং আরও চারদিন বাকি ছিল বলে জানান এই গায়ক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাতালগঞ্জ মসজিদে একসাথে ৫ শতাধিক মানুষের ইফতার
পরবর্তী নিবন্ধপার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র তৎপরতা নিয়ে সরকার কঠোর : কাদের