সিডিএ কর্ণফুলী হাউজিংয়ে ভাণ্ডালজুরি প্রকল্পের পানি ৩৩ বছরের বিড়ম্বনার অবসান হতে চলেছে

জিয়া হাবীব আহসান

| বুধবার , ২২ মে, ২০২৪ at ১১:০২ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছের আন্তরিক উদ্যোগ ও তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি ফজলুল্লাহর আন্তরিক সহযোগিতার আশ্বাসেচট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ৫১৯ টি প্লট সম্বলিত মেগা প্রকল্প কর্ণফুলী বামতীর হাউজিংয়ে সুপেয় পানি সংকটসহ ৩৩ বছরের পূরানো বিড়ম্বনার অবসান হতে চলেছে।

এ সংকটের অবসান কল্পে সমপ্রতি সিডিএ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে দফায় দফায় প্রকৌশলী, ওয়াসার এমডিসহ প্লট মালিক নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক হয়। অতিসত্বর উক্ত হাউজিংয়ে ওয়াসার ভাণ্ডালজুড়ি প্রকল্প হতে পানি সরবরাহে আন্তরিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন ওয়াসার এমডি ফজলুল্লাহ সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা। দায়িত্ব লাভের পর সিডিএ কর্ণফুলী প্লট মালিক কল্যাণ সমিতির সাথে একাধিক সভায় মিলিত হয়ে সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, এ প্রকল্পটি দেশের সবচেয়ে সুন্দর আবাসন প্রকল্প। এটিতে পানি, বিদ্যুৎ ইত্যাদি সরবরাহ করা হলে তা বসবাসের উপযুক্ত হবে এবং সিডিএ ও জনসাধারণ উভয়েই উপকৃত হবেন। নিরসন হবে চট্টগ্রাম মহানগরীর তীব্র আবাসন সংকট। তিনি বলেন, ওয়াসার চেয়ারম্যান আমাকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। প্লট মালিকগণও সহযোগিতা দিলে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা প্রকল্পটি অতি অল্প সময়ে সাফল্যের মুখ দেখবে। এ সময় প্লট মালিক সমিতি নেতৃবৃন্দ তাঁর সাথে ঐকমত্য পোষণ করলে সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, তাহলে তৈরী হোন, প্ল্যান জমা দিন। আমি নিজে গিয়ে প্রকল্পে মাটি কেটে এ প্রকল্পের কাজ শুরু করবো। তিনি উক্ত হাউজিংয়ে কোরবানির গরুর বাজার ইজারার নামে কোটি কোটি টাকা নয় ছয়ের অভিযোগ তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন ও সিডিএএর তত্ত্বাবধানেই ভবিষ্যতে ইজারা ডাকা হবে এবং এর অর্থ উক্ত প্রকল্পে মসজিদ, স্কুল, কলেজ, মার্কেট, খেলার মাঠ ও সার্বিক উন্নয়নে ব্যয় হবে মর্মে ঘোষণা দেন।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত প্লট মালিক সমিতির সভাপতি প্রিন্সিপ্যাল মোজাম্মেল হক, সিনিয়র সহসভাপতি এডভোকেট জিয়া হাবীব আহ্‌সান, সম্পাদক আলহাজ্ব ইয়াসিন চেয়ারম্যান, সহসভাপতি গোলাম ওয়ারেছ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল হুদা, অর্থ সম্পাদক এডভোকেট সেলিম উদ্দিন, সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী, আনোয়ারুল ইসলাম, মোফাজুল হোসেন চৌধুরী, মোঃ রিজোয়ান, আব্দুল মালেক, ফয়সাল আলম, মুবিনুল হক চৌধুরী, মোঃ ইকবাল প্রমুখ সিডিএ চেয়ারম্যানএর আন্তরিক উদ্যোগের জন্য তাঁকে সমিতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। সিডিএ চেয়ারম্যান সকলকে কাজের ফলোআপ সহ সিডিএর ডাকে সাড়া দিতে প্রস্তত থাকতে আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ওয়াসার কাছে ডিমান্ড নোট চেয়েছি, ওরা কাজ শুরু করেছে। এটা যত দ্রুত সম্ভব হাতে আসলেই পরবর্তী পদক্ষেপ। সংশ্লিষ্টদের অবিলম্বে বিদ্যুৎ সংযোগ, রাস্তা ঘাট, নালা নর্দমা সংস্কার ও প্ল্যান পাসের জন্য আবেদন দ্রুত পাসের নির্দেশ দিয়েছি। আমি এর সাফল্য দেখতে চাই। আপনারা সিডিএ চেয়ারম্যান নয় আপনাদের ইউনুছ ভাইয়ের কাছে এসেছেন, আমি আমলাতান্ত্রিক জটিলতা চাই না, যা করবো নিজ দায়িত্বে করবো।

উল্লেখ্য, ওয়াসার সুপেয় পানির অভাব ও দোতলার বেশি উঁচু দালান নির্মানের অনুমতি নেই ইত্যাদি গুজবের কারণে প্রায় ৩৩ বছর আগে গৃহীত মূল্যবান প্রকল্পটি মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। তদানিন্তন সময়ে সর্বোচ্চ মূল্যে প্লট খরিদ করা হলেও সেখানে পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস সংযোগ সহ যাবতীয় ইউটিলিটি সুবিধা দেওয়ার কথা রাখা হয়নি। সিডিএ চেয়ারম্যান ভোক্তা সাধারণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্তরিক উদ্যোগ গ্রহণ করায় তাঁকে স্বাগত জানাই, অভিনন্দন জানাই প্রিয় মানুষ বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউনুছ ভাই।

লেখক: আইনবিদ, মানবাধিকার, ভোক্তাঅধিকার ও সুশাসন কর্মী

পূর্ববর্তী নিবন্ধহালিশহরে নগদ টাকাসহ ১৫ জুয়াড়ি আটক
পরবর্তী নিবন্ধদেশের মধ্যে ধূমপানমুক্ত প্রথম উপজেলা হবে রাউজান