চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে (চসিক) সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) পদে ফেল করার পরও এক কর্মকর্তার পদোন্নতিসহ বিদ্যুৎ উপ–বিভাগে পদোন্নতি প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। গতকাল মঙ্গলবার চসিক কার্যালয়ে পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–১ এর সহকারী পরিচালক সাঈদ মুহাম্মদ ইমরান। অভিযানের বিষয়ে তিনি আজাদীকে বলেন, চসিকের বিদ্যুৎ উপ–বিভাগে কর্মকর্তাদের পদোন্নতি প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় মেয়র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সচিবের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। এছাড়া অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট টিম দ্রুত কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।
তিনি আরো বলেন, ভাইভাতে ফেল করার পরও রূপক দাশকে পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়ে আমরা মেয়র মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। উনি জানিয়েছেন, রূপক দাশ একটা বিশেষ দলের সঙ্গে দীর্ঘদিন সম্পৃক্ত থাকা, উনার রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে উনাকে ভাইভাতে কম নম্বর দিয়ে অনুত্তীর্ণ করা হয়েছে। রেকর্ডপত্রে আমরা যেটা দেখলাম, ভাইভাতে ১০ নম্বর পেলে উত্তীর্ণ হওয়ার কথা, কিন্তু উনি পেয়েছেন ৯। যে সাতজন মৌখিক পরীক্ষা দিয়েছেন, তাদের মধ্যে উনি মেধাতালিকায় চার নম্বরে আছেন। যদি চারজন নেওয়া হয়ে থাকে, উনাদের প্রয়োজন অনুসারে, তাহলে এখানে সরাসরি অনিয়ম হয়েছে বলা যাচ্ছে না। মেয়র মহোদয়ও বলেছেন, এখানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে যত কাজ, তিনজন সহকারী প্রকৌশলী দিয়ে সেটা সম্ভব হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে কাজের সুবিধার্থে যদি মেয়র মহোদয় অতিরিক্ত একজন নিয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে সরাসরি অনিয়ম হয়েছে এটা বলা যাচ্ছে না।
জানা গেছে, গত ২১ এপ্রিল চসিকের উপ–সহকারী প্রকৌশলী রুপক চন্দ্র দাশকে সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। অথচ তিনি ৬ মার্চ অনুষ্ঠিত মৌখিক পরীক্ষায় ফেল করেন। দুদক জানায়, ফেল করার পরও পদোন্নতি বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা হলে ১৫ মে উক্ত পদোন্নতি বাতিল করা হয়।