রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই প্রথম চালু হয়েছে সিজারিয়ান অপারেশন। গতকাল সোমবার এক প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। ইতিপূর্বে আরও ৩টি সফল সিজার করা হয়েছিল। সিজারিয়ান অপারেশন চালু হওয়ায় রাঙ্গুনিয়াবাসীর মাঝে স্বস্তি বিরাজ করছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ১৯৬৫ সালে ৫০ শয্যার রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এরপর ২০০৬ সালে প্রসূতি রোগীদের জন্য সিজারিয়ান অপারেশন সেবা চালু করা হয়। অবকাঠামোগত সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা থাকার পর অ্যানেস্থেসিয়া ও গাইনি চিকিৎসকের অভাবে গত ১৬ বছর সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ ছিল। তবে নরমাল (স্বাভাবিক) প্রসব চালু ছিল। তবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপির সার্বিক সহায়তায় অবশেষে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চালু করা হয়েছে সিজারিয়ান অপারেশন।
গত ৯ মার্চ থেকে হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন শুরু করা হয়েছে। অপারেশন কক্ষে জীবাণুমুক্তকরণ অটোগ্ল্যাব, রক্ত বন্ধ করার জন্য ডায়াথার্মি মেশিনসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সক্রিয় করা হয়েছে। সম্প্রতি হাসপাতালে যোগদান করেন এনেস্থেশিয়া কনসালটেন্ট ডা. মো. নাজমুল হাসান এবং গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. তাসনুভা নওশীন। তাদের সাথে আছেন এনেস্থেশিয়ার জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. শাকিলা আক্তার এবং মেডিকেল অফিসার ডা. তাহেরাতুল আশরাফী। তাঁদের সমন্বয়ে এখন পর্যন্ত ৪টি অপারেশন করা সম্ভব হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল সোমবার হাসপাতালে ইয়াছমিন আক্তার (১৯) নামে একজনের সিজারের মাধ্যমে ছেলে সন্তান জন্মগ্রহণ করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেব প্রসাদ চক্রবর্তী জানান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপির সার্বিক তত্ত্বাববধানে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন থিয়েটার চালু করা হয়েছে।












